বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অধিকৃত ইউক্রেনের ভোট থেকে যা চায় রাশিয়া

  •    
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৩০

যুদ্ধে ফিরতে ক্রেমলিনের নেয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের একটি এই গণভোট। সার্বভৌম ইউক্রেনের আরও ১৫ শতাংশ নিজেদের করে নিলে যুদ্ধের শক্ত অজুহাত দেখাতে পারবেন পুতিন। তিনি বলতে পারবেন, ইউক্রেনে ন্যাটো ও পশ্চিমাদের পাঠানো মারণাস্ত্রের বলি হওয়ার শঙ্কায় আছে এসব অঞ্চল।

রাশিয়ান ফেডারেশনে ভিড়তে ইউক্রেনের চারটি বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় চলা গণভোট ঘিরে নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্রগুলো এ পদক্ষেপকে অবৈধ ও জালিয়াতির ভোট বলছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধকে আরও উসকে দেবে ভোট।

ইউক্রেনে অভিযান শুরুর সাত মাস পেরোলেও তেমন অর্জন নেই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। উল্টো ইউক্রেনের প্রতিরোধে দখল করা কয়েকটি এলাকা ছাড়তে হয়েছে পুতিন বাহিনীকে।

যুদ্ধে ফিরে আসতে ক্রেমলিনের নেয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের একটি এই গণভোট। সার্বভৌম ইউক্রেনের আরও ১৫ শতাংশ নিজেদের করে নিলে যুদ্ধের শক্ত অজুহাত দেখাতে পারবেন পুতিন। তিনি বলতে পারবেন, ইউক্রেনে ন্যাটো ও পশ্চিমাদের পাঠানো মারণাস্ত্রের বলি হওয়ার শঙ্কায় আছে এসব অঞ্চল। অবশ্য তিন লাখ অতিরিক্ত সেনা ডেকে ৬২০ মাইলের লম্বা এক দেয়াল তৈরি করে এই চার অঞ্চল বাঁচাতে তেমন বেগ পেতে হবে না রাশিয়াকে।

রাশিয়ানদের নেতা পুতিন যখন পূর্ব ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল নিজের ভূখণ্ডে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার মানে তিনি তা করবেন। আগেও এর নজির আছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে পুতিন যখন ক্রিমিয়াকে ছিনিয়ে নেয়, তখনও গণভোট হয়েছিল।

সেবারের মতো এই গণভোটকেও অবৈধ বলছে পশ্চিমা বিশ্ব। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোরও একই সুর।

রাশিয়ান ফেডারেশনে যোগ দিতে ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোট দেবে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের বাসিন্দারা।

জালিয়াতির ভোট কেন

কীভাবে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজেদের করে নিয়েছিল রাশিয়া, তা পুরো বিশ্ব দেখেছে। সে সময় ক্রেমলিন দাবি করে, তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় ক্রিমিয়ার ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ বাসিন্দা। তবে রাশিয়ার মানবাধিকার কাউন্সিলের ফাঁস হওয়া এক প্রতিবেদন বলছে, ৩০ শতাংশ রাশিয়া ঢোকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

ক্রিমিয়া দখলে নিতে খুব বেগ পেতে হয়নি রুশ বাহিনীকে, তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। যুদ্ধের মধ্যেই চলছে ভোট। যে চার অঞ্চলে ভোট হচ্ছে সবগুলোই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।

দক্ষিণে, খেরসন শহরটি এখন নিরাপদ নয়। ইউক্রেন সেনাদের পাল্টা হামলা ঠেকাতে ব্যস্ত রুশ সেনারা। কেন্দ্রীয় প্রশাসন ভবনে গত সপ্তাহে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। এখানে নিরাপদ ভোট অসম্ভব। তবুও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই শহরের প্রায় ৭৫ হাজার বাসিন্দা ভোটে অংশ নেবে।

রাশিয়ান মিডিয়া বলছে, নির্বাচনি কর্মকর্তারা শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত পোর্টেবল ব্যালট বাক্স নিয়ে ঘরে ঘরে যাবেন। নিরাপত্তার খাতিরে শেষের দিন অর্থাৎ ২৭ সেপেটেম্বর কেন্দ্রে হবে ভোট। এ জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে জাপোরিঝিয়ার রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের হাতে। গণভোট এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে … এটা এক প্রকার নিশ্চিত।

পূর্বের দোনেৎস্ক অঞ্চলের ৬০ শতাংশ রাশিয়ার দখলে। অঞ্চলটি রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এখানে যে নিরাপদ ভোট হবে না, এটাও নিশ্চিত।

অন্যদিকে ভূমি হারাতে শুরু করলেও উত্তর-পূর্বের লুহানস্কের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়া।

সংঘাতকবলিত অঞ্চলগুলোর বাসিন্দারা আগেই পালিয়ে গেছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর এক দিন আগে দোনেৎস্কের বেশির ভাগ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছিলেন অঞ্চলটির নেতা ডেনিস পুশিলিন।

ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর নেতারা অনেক দিন আগে থেকে এমন ভোট আয়োজনের প্রেক্ষাপট তৈরির চেষ্টায় ছিলেন। যদিও ভোট করার সিদ্ধান্ত আসে তিন দিন আগে।

এই ভোটে কোনো স্বাধীন পর্যবেক্ষক থাকবে না। বেশির ভাগ ভোটই হবে অনলাইনে। যদিও ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর