‘সঠিক নিয়মে’ হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর ২২ বছরের মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানে চলমান বিক্ষোভ সামাল দিতে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্লক করেছে দেশটির সরকার।
বৈশ্বিক ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লক্সের বরাতে এমনটাই জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
নেটব্লক্স বলছে, সোমবার থেকে পশ্চিম ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের কিছু অংশে শুরুতে ইন্টারনেট সেবা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। বিক্ষোভ শুরুর পর তেহরান ও অন্যান্য শহরেও ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।
তেহরান ও দক্ষিণ ইরানের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা হোয়াটসঅ্যাপে টেক্সট পাঠাতে পারলেও কোনো ছবি পাঠাতে পারছেন না। ইনস্টাগ্রাম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।
চলমান উত্তাল পরিস্থিতিতে ইরানে ইন্টারনেটের গতিও কমিয়ে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। একটি বড় মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যাহত হওয়ার কারণে লাখ লাখ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ইন্টারনেট সেবা নিয়ে ইরানি কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। দেশটিতে ইন্টারনেটে হস্তক্ষেপ নতুন ঘটনা নয়। এর আগে ২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময়েও প্রায় সপ্তাহখানেক ইন্টারনেট বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে দেশটিতে প্রবল বিক্ষোভ চলছে। অনেক নারী এই বিক্ষোভে সমর্থন জানাতে হিজাব আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ছবি ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছিলেন।