পশ্চিমবঙ্গের তাজপুরের গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করবে ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠী। এর ফলে শুধু মেদিনীপুর নয়, আশপাশের জেলার অর্থনীতি বদলে যাবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার থেকে স্থানীয় মানুষ।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তাজপুর সমুদ্রবন্দর তৈরির জন্য আদানি গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করবে রাজ্য সরকার। যার জন্য খরচ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। বন্দর তৈরি করতে সব মিলিয়ে মোট খরচ হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
এর নির্মাণকাজ শেষ হলে সরাসরি ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কলকাতার মেয়র, রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘তাজপুরের গভীর সমুদ্রে বন্দর তৈরির জন্য আদানি গোষ্ঠী অর্থ বিনিয়োগ করবে। অনেক দিন ধরেই বন্দরের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছিল। তাজপুর বন্দর তৈরি করতে সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। লেটার অফ ইনটেন্ট তাদের হাতে তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
স্থানীয় বিধায়ক রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি এ বিষয়ে বলেন, ‘আশা করি খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। এখানে বন্দর হলে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, আশপাশের জেলাসহ রাজ্যের মানচিত্রে নতুন পালক জুড়ল বলা চলে। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে ভোল বদল হবে এই অঞ্চলের। এটি সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন। তাকে ধন্যবাদ।’
১৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাজপুরে বন্দর তৈরি করতে কাজ শুরু হয়েছে।
তাজপুরে বন্দর তৈরি নিয়ে দীর্ঘদিন কেন্দ্র রাজ্যে টালবাহানা চলছিল। গত বছর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই একক উদ্যোগে বন্দর তৈরি করবে রাজ্য।
১৪ মার্চ বন্দর তৈরির জন্য দরপত্র চেয়েছিল রাজ্য সরকার। বহু সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছিল। তাদের মধ্যে আদানি গোষ্ঠীকে বেছে নেয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের মধ্যে এই বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার।