বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নামিবিয়ার চিতা ভারতের জঙ্গলে, উচ্ছেদ আতঙ্কে পুরো গ্রাম

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:১৪

মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কের জঙ্গলের আশপাশে ১৫০টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে শেওপুর জেলার পশ্চিম সীমান্তে বাগচা গ্রামের ৫৫৬ জন বাসিন্দা বিপন্ন তালিকাভুক্ত সাহারিয়ার জাতির।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে ঢাকঢোল পিটিয়ে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা এনে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে ছাড়া হয়েছে। এ জন্য পার্ক লাগোয়া বাগচা গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের তোড়জোড় শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

এ নিয়ে উদ্বিগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা।

মোদির প্রজেক্ট চিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাধারণ মানুষ থেকে পরিবেশবিদদের একাংশ।

মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কের জঙ্গলের আশপাশে ১৫০টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে শেওপুর জেলার পশ্চিম সীমান্তে বাগচা গ্রামের ৫৫৬ জন বাসিন্দা বিপন্ন তালিকাভুক্ত সাহারিয়ার জাতির।

রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, শেওপুর জেলাতেই ২১ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কোটি কোটি টাকা চিতার জন্য খরচ করছে। অথচ অপুষ্টিতে ভোগা বিপন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ বিদেশ থেকে আনা চিতার জন্য উচ্ছেদের ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

দুঃখ করে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘এটা আমাদেরই জমিন। এটাই আমাদের জঙ্গল। আমাদের ভিটেমাটি। অথচ আজ আমাদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার।’

বিপদ শুধু ভারতীয় ওই জনজাতিদের নয়, বিপদ আফ্রিকা থেকে ভারতে আসা চিতাদেরও, বলছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

তাদের মতে, কুনোর জঙ্গলে চিতার স্বাভাবিক জীবনযাপন, শিকার ধরা, সন্তান পালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া অজানা পরিবেশে শত্রুর হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে নামিবিয়ার চিতাগুলো কতটা সক্ষম হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।

এক বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আফ্রিকার চিতা খুবই শান্তপ্রকৃতির। এখানে তাদের সবুজ ঘাসে ঘুরে বেড়ানোর মতো জায়গার অভাব রয়েছে। ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে কুনোর জঙ্গলে। রয়েছে হায়নার দল। দেশীয় চিতাবাঘ রয়েছে, যারা চিতার শত্রু। আর রয়েছে অজস্র স্থানীয় কুকুর। যাদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচানো বেশ কঠিন।’

প্রায় ৭০ বছর আগে জঙ্গলের অভাব, খাদ্যের অভাব, চোরাশিকারি আর গ্রামবাসীদের হাতে পড়ে ভারতীয় চিতার বিলুপ্তি ঘটে। তবে ভারতীয় প্রজাতির চিতা পাওয়া যায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে।

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ৭২তম জন্মদিনে বিজেপি সরকারের উদ্যোগে ভারতে আবার চিতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে বিজেপি ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করেছে। তবে ২০০৮-০৯ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে দেশে চিতা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে দাবি করেছেন।

অন্যদিকে বিজেপির আইটি সেলের অমিত মালব্য টুইটে জয়রাম রমেশের টুইটের জবাব দিয়ে জানান, ‘তখনকার পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। তাই সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর