বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্যের সম্পদে বাঁচার অভ্যাস ছাড়তে পারছে না পশ্চিমারা: পুতিন

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:৪৩

উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সব কার্যক্রম শেষ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান, ইউরোপে জ্বালানিসংকট, দোনবাস অঞ্চলের মুক্তিসহ নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, আজারবাইজান, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও মঙ্গোলিয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইউক্রেন ইস্যুতে গণমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন।

জুলাইয়ের পর পুতিনের করা প্রথম এই সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমাদের সঙ্গে বিরোধ, ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্বালানি সংকট নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে।

পুতিন সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবের আলোকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তার চুম্বকাংশ নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

পশ্চিমারা সব সময় রাশিয়াকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে ধ্বংস করা এবং এটিকে কয়েকটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে ‘বিচ্ছিন্ন’ করা সব সময়ই পশ্চিমাদের জন্য একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার ছিল।

ইউক্রেনকে একটি রুশবিরোধী পশ্চিমা ছিটমহল হিসেবেও উল্লেখ করেন পুতিন।

তিনি বলেন, ‘পশ্চিমারা সব সময় আমাদের দেশের বিচ্ছিন্নতার জন্য চেষ্টা করেছে এটা শুধু দুঃখজনক যে একপর্যায়ে তারা এই ধরনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইউক্রেনকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

ইউক্রেন সংঘাতের লক্ষ্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি

ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে রাশিয়া যে লক্ষ্যগুলো অর্জনের চেষ্টা করছে তাতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো পুরো দোনবাস অঞ্চলের মুক্তি। ইউক্রেনীয় সেনাদের পাল্টা আক্রমণের চেষ্টার পরও এই কাজটি অব্যাহত রয়েছে।’

ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত

সংবাদ সম্মেলনে পুতিন দাবি করেছেন, মার্চ মাসে ইস্তাম্বুল আলোচনার সময় রাশিয়া ইউক্রেনের প্রস্তাবের নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে সম্মত হতে প্রস্তুত ছিল। কিয়েভই সেই আলোচনা বাতিল করে।

তিনি বলেন, ‘এই চুক্তিতে পৌঁছানোর শর্ত তৈরি করার জন্য কিয়েভ থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এর পরিবর্তে, কিয়েভ কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে সব চুক্তি পরিত্যাগ করে।’

পুতিন এ সম্পর্কে আরও বলেন, ‘তারা ঘোষণা করেছিল যে তারা রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তি চাইবে না, তবে যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয় চাইবে। ভালো, তারা সেটাই করে দেখাক।’

একই সঙ্গে পুতিন বলেছেন, তার ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনা অনিশ্চিত।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রথমত তাদের (আলোচনার জন্য) সম্মত হওয়া উচিত। কিন্তু তারা তা করতে রাজি নয়। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি প্রস্তুত নন এবং রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক নন। তিনি যদি প্রস্তুত না হন, (আলোচনার) কোনো প্রয়োজন নেই।’

ঔপনিবেশিক মানসিকতা পশ্চিমে জর্জরিত

পুতিন বলেছেন, সমষ্টিগতভাবে পশ্চিম এখনও ঔপনিবেশিক যুগের মানসিকতায় আটকে আছে, পশ্চিমা দেশগুলো অন্যদের সম্পদে তাদের জীবনযাপনের অভ্যাস ত্যাগ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, ‘এগুলো সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি, তারা এখনও ঔপনিবেশিক দর্শনের জগতে বাস করে। তারা অন্যের খরচে বাঁচতে অভ্যস্ত এবং তারা এখনও তাদের ব্যাবহারিক দৈনন্দিন রাজনীতিতে এই দৃষ্টান্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না।’

কি কারণে ইইউ জ্বালানিসংকট

ইউরোপে চলমান জ্বালানিসংকটের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করছে পশ্চিমারা। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণেই এই সংকট সৃষ্টি- এমনটাই দাবি পশ্চিমাদের।

পুতিন বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেই এই সংকট সৃষ্টি করেছে, এখন অন্যদের খরচে এর সমাধানের চেষ্টা করছে। এই সংকট দোনবাসের বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর আগেই, যখন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইউরোপ জীবাশ্ম জ্বালানি ত্যাগ করে গ্রিন এনার্জি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর