যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ওয়াশিংটন ডিসির বাসভবনের সামনে দুই শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জড়ো করা হয়েছে।
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টেক্সাসে আসা এই অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রাজ্যের গর্ভনর রিপাবলিকার নেতা গ্রেগ অ্যাবোটের নির্দেশে দুটি বাসে করে ভাইস প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে পাঠানো হয়। রিপাবলিকান এই নেতা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অভিবাসন সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এমনভাবে অভিবাসীদের পাঠানো অব্যাহত থাকবে।
অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে বেকায়দায় থাকা ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সরকারকে এক হাত নিতে এসব করেছেন রিপাবলিকান এই নেতা, এমন দাবি বাইডেন-কমলা সরকার সমর্থক অনেকের।
ডেমোক্রেটরা অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করছেন রিপাবলিকানরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রিপাবলিকান নেতা গ্রেগ অ্যাবোট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কলম্বিয়া, কিউবা, নিকারাগুয়া, পানামা ও ভেনেজুয়েলা থেকে অবৈধভাবে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে যাওয়া শতাধিক অভিবাসীকে দুটি বাসে করে কমলা হ্যারিসের বাসায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার নিযুক্ত সীমান্ত সম্রাট (বর্ডার জার) কমলা হ্যারিসকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এমনভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বাসে করে ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন সুরক্ষিত শহরে পাঠানো অব্যাহত থাকবে।’
বাসে করে টেক্সাস থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাতে তাদের ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। দীর্ঘ এই যাত্রায় ডায়াবেটিকস আক্রান্ত নারীসহ একটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্বেচ্চাসেবী সংগঠনের কর্মীরা তাদেরকে দ্রুত একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। অন্য অভিবাসীদের বাসভবনের সামনে থেকে সরিয়ে পাশের একটি গির্জায় নেয়া হয়। সেখানে তাদের জন্যে খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মী জৌ ক্যাস্ট্রো জানিয়েছেন, এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শিগগিরই অন্য একটি স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে।
এই ত্রাণকর্মী আরও জানান, ‘নিজ দেশে সহিংসতার শিকার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অমানবিকভাবে এই দীর্ঘ বাস যাত্রা সহ্য করতে হয়েছে। এটি অমানবিক ও তাদের সঙ্গে ঘৃণিত আচরণ করা হয়েছে।
চলতি বছর এপ্রিল থেকে রিপাবলিকান নেতা গ্রেগ একইভাবে বাসে করে অভিবাসীদের ডেমোক্রেট গভর্নরশাসিত ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও শিকাগোতে পাঠিয়েছেন। রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে জো বাইডেন প্রশাসনকে চাপে রাখতে এমনটি করছেন তিনি।
তবে তার দাবি, বাইডেন-কমলার ব্যর্থ অভিবাসন নীতির কারণে অভিবাসীরা সীমান্ত পাড়ি দিতে উৎসাহিত হচ্ছে।