বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাইবেলের ধ্বংসলীলার পথে হাঁটছে পশ্চিম: রাশিয়া

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:২০

মেদভেদেভ বলেন, ‘পশ্চিমারা যদি অস্ত্র দিয়ে কিয়েভ শাসকদের উসকানি দেয়া বন্ধ না করে, তবে রুশ সেনারা আরও আগ্রাসী হয়ে উঠবে। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে সংঘাতের কোনো সীমানা থাকবে না। কোনো ভবিষ্যদ্বাণী কাজে আসবে না। এই সংঘর্ষ কেবল প্রাণ ঝরাবে, যেমনটা সব যুদ্ধেই ঘটে।’     

মস্কোর বিরুদ্ধে হাইব্রিড যুদ্ধে জড়িয়ে পশ্চিমা দেশগুলো পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন রুশ কূটনীতিক দিমিত্রি মেদভেদেভ। সাবেক এই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “পশ্চিমের ‘স্টুপিড থিংক ট্যাংক’ থেকে নেয়া ‘খোঁড়া বুদ্ধির’ মাশুল দিতে যাচ্ছে ওই অঞ্চলের দেশগুলো। এসব বুদ্ধিতে পরমাণু যুদ্ধের পথে হাঁটছে পশ্চিমারা।

মেদভেদেভ বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। টেলিগ্রাম পোস্টে মঙ্গলবার মেদভেদেভ বলেন, ‘সরাসরি না জড়িয়ে, ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে সংঘাতে ঢুকছে পশ্চিমারা। তাদের এসব কূটকৌশল কাজে আসবে না।’

যুদ্ধ বন্ধে মঙ্গলবার “সিকিউরিটি গ্যারান্টিস” নামে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে ইউক্রেন। এ প্রস্তাবকে মেদভেদেভ “তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তাবনা” বলছেন। তার মতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত পশ্চিমা দেশগুলোর “হিস্টিরিক্যাল আপিল” এই প্রস্তাব।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এ প্রসঙ্গে বাইবেলের একটি আয়াতের উদ্ধৃত দিয়ে মেদভেদেভ বলেন, ‘পশ্চিমারা যদি অস্ত্র দিয়ে কিয়েভ শাসকদের উসকানি দেয়া বন্ধ না করে, তবে রুশ সেনারা আরও আগ্রাসী হয়ে উঠবে। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে সংঘাতের কোনো সীমানা থাকবে না। কোনো ভবিষ্যদ্বাণী কাজে আসবে না। এই সংঘর্ষ কেবল প্রাণ ঝরাবে, যেমনটা সব যুদ্ধেই ঘটে।

‘এমনটা ঘটলে সাজানো-গোছানো রুমে পশ্চিমারা বসে থাকতে পারবে না, প্রক্সি যুদ্ধের মজা নিতে পারবে না। তাদের চারপাশ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, ফসলের জমিতে আগুন দাউদাউ করবে, কংক্রিট গলে পড়বে।’

মেদভেদেভ বলেন, ‘ হ্যাঁ... এখনও অনেক সংকীর্ণ মনের রাজনীতিক এবং তাদের নির্বোধ থিংক ট্যাংক মদের গ্লাস হাতে নিতে ভাবছে। তাদের ছক কষছে, কীভাবে আমাদের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো যায়।

ন্যাটোর সাবেক সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেনের তত্ত্বাবধানে ‘সিকিউরিটি গ্যারান্টিস’ খসড়া প্রস্তাবটি তৈরি হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনে অস্ত্র, গোলাবারুদ, অর্থ এবং সামরিক প্রশিক্ষণ সহায়তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। দখলকৃত অঞ্চলগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে ইউক্রেনকে।

এ ছাড়া ইচ্ছা অনুযায়ী মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে কিয়েভ। ফিরিয়ে দিতে হবে ইউক্রেনের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি।

এ বিভাগের আরো খবর