বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন-শি চিনপিং বৈঠক

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:২১

ক্রেমলিন জানিয়েছে, পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থায় পশ্চিমা শক্তির সামনে বিকল্প কিছু উপস্থাপন করতে এই সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যু গুরুত্ব পাবে। এমনটি জানিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন।

উজবেকিস্তানে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে মিলিত হবেন পুতিন ও শি চিনপিং।

ইউরেশিয়াভুক্ত দেশগুলোর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা হচ্ছে এসসিও। ২০০১ সালে চীন, রাশিয়া, কাজাকিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের উদ্যোগে গড়ে ওঠে আঞ্চলিক জোটটি।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থায় পশ্চিমা শক্তির সামনে বিকল্প কিছু উপস্থাপন করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার পর দেশের বাইরে শি চিনপিংয়ের এটি প্রথম সফর। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সবশেষ দেশের বাইরে মিয়ানমার সফর করেছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন শি চিনপিং। এতে বিশ্বশক্তি হিসেবে মস্কোর সমর্থন যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।

অন্যদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের বৈরী সম্পর্ক এখন সবচেয়ে প্রকট।

নিজেদের দেশে রাজনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে কীভাবে বিশ্বব্যবস্থায় অবস্থান সুদৃঢ় করা যায় সেসবও গুরুত্ব পাবে পুতিন-শি চিনপিং বৈঠকে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর চলতি বছরের জুলাইতে তেহরানে তুরস্ক ও ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পুতিন। ইরান সফর ছাড়া উজবেকিস্তানের সম্মেলনটি হতে যাচ্ছে পুতিনের গুরুত্বপূর্ণ সফর।

যুদ্ধ শুরুর আগে বেইজিংয়ে উইন্টার অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুতিনের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।

ফেব্রুয়ারির ওই বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্কে কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।

বেইজিং ছেড়ে মস্কোতে ফিরে দু-এক দিনের মধ্যে ইউক্রেন অভিযানের ঘোষণা দেন পুতিন।

২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়ার অভিযান। এরপর পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ চাপিয়ে দিতে থাকে। তবে আন্তর্জাতিক এমন সব অবরোধে কোনোরূপ সমর্থন না দিয়ে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি অব্যাহত রাখে বেইজিং।

এ বিভাগের আরো খবর