যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজপ্রাসাদে এসেছেন নাতি প্রিন্স হ্যারি, সঙ্গে এনেছেন স্ত্রী মেগান মার্কেলকেও।
জাতীয় শোকের দ্বিতীয় দিন রানির সরকারি বাসভবন উইন্ডসর ক্যাসেলে এই দম্পতির দেখা মেলে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
শনিবার সন্ধ্যায় উইন্ডসর ক্যাসেলের বাইরে ক্যামব্রিজ গেটে উপস্থিত হন রানির বড় নাতি উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেট মিডলটন। এ সময় তাদের সঙ্গে দেখা যায় ছোট নাতি হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানকে।
মেগানকে বিয়ে করে রাজপ্রাসাদ ছেড়েছেন হ্যারি। উইলিয়াম আছেন প্রসাদেই। দুই ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের ব্যাপারটি অনেকবারই সামনে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের পর এবারই প্রথম এ দুই দম্পতিকে একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা গেল। রাজপ্রাসাদের বাইরে উপস্থিত শুভাকাঙিক্ষদের সঙ্গে কথা বলেন হ্যারি ও উইলিয়াম।
দুই ভাই ও তাদের স্ত্রীরা ছিলেন কালো পোশাকে। সেখানে অন্তত ৪০ মিনিট সময় কাটান তারা। এরপর একটি গাড়িতে স্থান ত্যাগ করেন রাজ পরিবারের এ সদস্যরা।
রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে রাজা হয়েছেন প্রিন্স চার্লস। প্রিন্স ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস হিসেবে বড় ছেলে উইলিয়াম ও পুত্রবধূ কেট মিডলটনের নাম ঘোষণা করেন তিনি। এই দুই উপাধি আগে চার্লস এবং তার প্রয়াত স্ত্রী ডায়ানার ছিল।
২০১৮ সালে মেগান মার্কেলকে বিয়ে করেন হ্যারি। সাধারণ পরিবারের মেয়ে হলেও প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ের আগে প্রখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করেছিলেন মেগান মার্কেল।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দায়দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান হ্যারি-মেগান দম্পতি। এ জন্য অবশ্য রাজসিংহাসনের অধিকার ছাড়তে হয়নি তাকে।
দাদি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের উত্তরসূরি হিসেবে বাবা প্রিন্স চার্লসের পর, বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম, উইলিয়ামের তিন সন্তান প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লট ও প্রিন্স লুইসের পর সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডে নিজের দুর্গ বালমোরালে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান ৭০ বছর ধরে রানির সিংহাসনে থাকা দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বালমোরাল ক্যাসলের বলরুমে কফিনে রাখা হয়েছে মরদেহ। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর হবে তার শেষকৃত্য।