ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বড় ছেলে চার্লস। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও সিংহাসনে আরোহণ করেননি রাজা চার্লস। এর আগে বেশ কিছু পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছেন ব্রিটিশরা।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনটি আসতে যাচ্ছে জাতীয় সংগীতে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত ‘গড সেভ দ্য কুইন’ (ঈশ্বর রানিকে রক্ষা করুন)-এর প্রথম প্যারাটি গাওয়া হয়। সে জায়গায় আনা হবে পরিবর্তন।
ইংল্যান্ডের জাতীয় সংগীতের প্রথম প্যারা:
God save our gracious Queen!Long live our noble Queen!God save the Queen!Send her victorious,Happy and glorious,Long to reign over us:God save the Queen!
চার্লস রাজা হওয়ায় জাতীয় সংগীতের উল্লিখিত যেসব জায়গায় ‘কুইন’ শব্দটি রয়েছে, সেখানে এখন ‘কিং’ বসবে। যেখানে নারীবাচক ‘শি’ বা ‘হার’ আছে সেখানে পুরুষবাচক ‘হি’ বা ‘হিম’ বসবে। ইংল্যান্ডে রাজা কিংবা রানি বদলের সঙ্গে এ রেওয়াজ চলে আসছে। সবশেষ ১৯৫২ সালে জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনা হয়।
ইংল্যান্ডের রাজ পরিবারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জাতীয় সংগীতের ইতিহাস রয়েছে। সেখানে বলা হয়, দেশাত্মবোধক গান হিসেবে ‘গড সেভ দ্য কিং’ ১৭৪৫ সালে লন্ডনে সর্বপ্রথম সর্বজনীনভাবে পরিবেশন করা হয়। গানটি উনিশ শতকের শুরুতে জাতীয় সংগীত হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
এরপর থেকে রাজা ও রানি বদলের সঙ্গে সঙ্গে শুধু নারী বা পুরুষবাচক শব্দগুলো পরিবর্তন হয়।
রাজা তৃতীয় জর্জের সময় থেকে এটি জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়। এরপর মাত্র দুবার শব্দে পরিবর্তন এসেছে। প্রথমবার রানি ভিক্টোরিয়ার আমলে (১৮৩৭-১৯০১)।
ভিক্টোরিয়ার পর রাজা এডওয়ার্ডের সময় এটি পুরোনো কথায় ফিরে যায়। দীর্ঘ ৫১ বছর পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনামল শুরুর সময় (১৯৫২) আবারও গানে কিংয়ের জায়গা নেয় কুইন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণের কারণে প্রায় ৭০ বছর পর আবারও গানের কথায় আসছে পরিবর্তন।