কানাডার ছুরি হামলার ঘটনার দ্বিতীয় সন্দেহভাজন পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর মারা গেছেন। এর আগে মঙ্গলবার অন্য সন্দেহভাজনের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
কানাডার রয়েল মাউন্টেড পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ বলেছে, তারা ৩২ বছর বয়সী মাইলেস স্যান্ডারসনকে বুধবার বিকেলে সাসকাচোয়ান প্রদেশের হাইওয়েতে ধাওয়া করে আটক করে। পরে সাসকাচোয়ানের একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছুরি হামলার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রোন্ডা ব্ল্যাকমোর
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাইলেস নিজেই নিজেকে আঘাত করেছিলেন, এতেই তিনি মারা যান।
পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি।
মৃত্যুর কারণ জানতে মাইলেসের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
এ ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রাজ্যের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রোন্ডা ব্ল্যাকমোর। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রদেশটি এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।’
তাকে আটক করার আগে পুলিশ একটি এসইউভি চুরির ঘটনা জানতে পারে এবং সাসকাচুয়ান হাইওয়েতে ঘণ্টায় দেড় শ কিলোমিটার বেগে ছুটতে থাকা গাড়িটিকে তাড়া করে এবং একটি গর্তে পড়তে বাধ্য করে তাকে ধরে ফেলে।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া এক ফুটেজে দেখা গেছে একটি সাদা এসইউভি রাস্তা দিয়ে ছুটে চলছে এবং পুলিশের ক্রুজারগুলো তাকে ঘিরে ধরছে।
সন্দেহভাজন হামলাকারী ডেমিয়েন স্যান্ডারসন
এর আগে মঙ্গলবার ছুরি হামলার আরেক সন্দেহভাজন ডেমিয়েন স্যান্ডারসনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর কারণও এখনও জানানো হয়নি।
এর আগে কানাডার সাসকাচোয়ান প্রদেশে একের পর এক ছুরি দিয়ে হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং ১৮ জন আহত হন।
এর মধ্যে ১০ জন আহত ব্যক্তি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এসইউভিকে ঘিরে ধরা পুলিশের গাড়ি
ছুরি হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে সাসকাচুয়ান প্রদেশের স্মিথ ক্রি নেশন ও ওয়েলডন গ্রামের পৃথক ১৩টি স্থানে। এই এলাকাগুলোতে সাধারণ ফার্স্ট নেশনের লোকেরা বাস করে। কানাডার আদিবাসীদের ফার্স্ট নেশন বলা হয়।
দীর্ঘ মেয়াদে এই ফার্স্ট নেশনের মানুষগুলো অভিবাসী, শহুরে কানাডীয়দের শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এবারও তাদেরই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
আমাদের প্রদেশটি এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইটবার্তায় বলেছিলেন, ‘আজকে সাসকাচোয়ানের হামলার ঘটনা ভয়াবহ ও হৃদয়বিদারক। যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের কথা ভাবছি।’