ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযানের মধ্যেই একসময় সোভিয়েত বলয়ে থাকা ও বর্তমানে ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের আশঙ্কার বিষয়ে বলেছেন পোলিশ ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
পোল্যান্ডের সংবাদপত্র ডিজিপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোল্যান্ডের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্সিন ওসিপা বলেছেন, ৩ থেকে ১০ বছরের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে তার দেশ।
কিন্তু কবে নাগাদ এই সংঘাত শুরু হতে পারে তা নির্ভর করছে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান সংঘাত কিভাবে শেষ হয় তার ওপর।
তবে যুদ্ধের ঝুঁকি কিভাবে বাড়তে পারে বা কিভাবে কমানো যেতে পারে সেই বিষয় নিয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও ওসিপা বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের একটি গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে।’
তিনি এই সময় পোল্যান্ডের নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পোল্যান্ড প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছে। এ বছরই দেশটি সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ২০.৫২ বিলিয়ন ডলার। প্রতিরক্ষা খাতে অনুদানও গ্রহণ করছে দেশটি।
তবে রাশিয়ার সঙ্গে পোল্যান্ডের সামরিক সংঘাত হলে আর্টিকেল ৫-এর অধীনে ন্যাটো সামরিক হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি রয়েছে। পোল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই দেশটিতে প্রবেশ শুরু করে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই দেশটির শরণার্থীদের আশ্রয় ও সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে পোল্যান্ড।
এমনকি পোল্যান্ড ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমানও সরবরাহ করতে চেয়েছিল, কিন্তু অন্যান্য ন্যাটো সদস্যদের আপত্তির মুখে এমন পদক্ষেপ থেকে পিছু হটে দেশটি।