বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইউরোপই ধুঁকছে: পুতিন

  •    
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৪৯

পুতিন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার জন্য ইউরোপীয়রা নিজেদের জীবনযাত্রার মানে ছাড় দিচ্ছে। অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলো পড়েছে খাদ্য সংকটে। ইউক্রেনের শস্য থেকে দরিদ্র দেশগুলোকে বঞ্চিত করছে ইউরোপ।’

রাশিয়ার ওপর পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপীয়দের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ভ্লাদিভস্তক শহরে বুধবার একটি ফোরামে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

পুতিন বলেন, ‘পশ্চিমের এসব নিষেধাজ্ঞা গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি। আমরা এই অর্থনৈতিক আগ্রাসন মোকাবিলা করছি।

‘নিষেধাজ্ঞার জন্য ইউরোপীয়রা নিজেদের জীবনযাত্রার মানে ছাড় দিচ্ছে। অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলো পড়েছে খাদ্য সংকটে। ইউক্রেনের শস্য থেকে দরিদ্র দেশগুলোকে বঞ্চিত করছে ইউরোপ।’

কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দরগুলো অবরুদ্ধ রেখেছিল রাশিয়ান বাহিনী। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আগস্টের শুরুতে রপ্তানি পুনরায় শুরু হয়।

পুতিনের দাবি, এ সময়ে কেবল দুটি শস্যবাহী জাহাজ আফ্রিকায় গেছে। রপ্তানি বাড়াতে পুতিন চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে আলোচনা করতে চান। তবে ইউক্রেন সরকার রুশ প্রেসিডেন্টের আহ্বানকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে।

রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে। গত কয়েক মাসে ইউক্রেনের প্রায় পঞ্চমাংশ এলাকা দখল করেছে পুতিন বাহিনী। যুদ্ধের ছয় মাস পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং উত্তরের আশপাশের এলাকাগুলো থেকে পিছু হটে রুশ সেনারা। এখন দক্ষিণ ও পূর্বে ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা হামলার মুখোমুখি হচ্ছে পুতিন বাহিনী।

পশ্চিমা দেশগুলো বিপুলসংখ্যক রাশিয়ান নাগরিক, ব্যবসা এবং রাষ্ট্র পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। রাশিয়ান গ্যাস ও তেলের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে নর্ড স্ট্রিম ১ গ্যাস পাইপলাইনে কারিগরি সমস্যার কথা জানিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে রাশিয়া।

এতে জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইইউ নেতারা।

পুতিন বলেন, ‘পশ্চিমারা তাদের আচরণ অন্যান্য দেশের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কীভাবে ইউরোপে একের পর এক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে।’

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে রাশিয়াতেও। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছেই, রুশ প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানি করতে লড়াই করছে।

ইইউ ইতোমধ্যে রাশিয়া থেকে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রাশিয়ানদের ভিসা পাওয়ার বিষয়টি আরও জটিল করার বিষয়ে গত সপ্তাহে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। এতে সেনজেন ভিসা আরও ব্যয়বহুল হতে পারে।

পুতিন বলেন, ‘ডলার, ইউরো ও পাউন্ডের প্রতি মানুষের আস্থা কমছে। আমি নিশ্চিত এতে আমরা কিছু হারাইনি এবং কিছুই হারাব না।’

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবার অভিযোগ, রাশিয়া জ্বালানি নিয়ে ইউরোপকে ব্ল্যাকমেইল করতে চাইছে। পুতিন ইউরোপের প্রতিটি পরিবারের স্থিতিশীলতা এবং মঙ্গল নষ্ট করতে চায়।’

ফোরামে উপস্থিত ছিলেন চীনা আইনপ্রণেতা লি ঝানশু। তাকে ইঙ্গিত করে পুতিন বলেন, ‘যে যতই রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় না কেন, এটি অসম্ভব।’

রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন আগামী সপ্তাহে উজবেকিস্তানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর