পুরো বিশ্বের মতোই সাউথ কোরিয়ায় ঝড়-বৃষ্টিতে প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে রাজধানী সিউলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক শহরে। এরই মধ্যে দেশটিতে আঘাত করা টাইফুন হিন্নামনরের আঘাতে সৃষ্ট বন্যায় একটি ভূগর্ভস্থের গাড়ি পার্কিংয়ে আটকে পড়ে ৭ জন মারা গেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মারা যাওয়া সবাই তাদের গাড়ি সরাতে পার্কিংয়ে নেমেছিলেন। সে সময় হঠাৎ আসা জলস্রোতে তারা আটকা পড়ে যান।
উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন, মঙ্গলবার সেখান থেকে তারা দুজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত এই দুজন ১২ ঘণ্টা ধরে একটি সিলিং পাইপ আঁকড়ে ধরে ছিলেন।
জীবিত দুজনের একজন ৩০ বছর বয়সী পুরুষ, অন্যজন ৫০ বছর বয়সী নারী। তাদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে মরদেহ সরাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা
ঘটনার শিকার ৯ জনই একই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালেই ম্যানেজমেন্ট অফিস কার পার্কিং থেকে তাদের গাড়ি সরাতে বললে তারা সেখানে যায়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইওন সুক-ইওল এই ঘটনায় দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন এবং একে বিপর্যয় হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি রাতে ঘুমাতে পারেননি।
ঘটনাটি যে শহরে ঘটেছে, সেই পোহাং শহরকে বিশেষ দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ডুবে যাওয়া ভূর্গভস্থ পার্কিংয়ের সামনে উদ্ধারকর্মীরা
প্রেসিডেন্ট ইওন বুধবার জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই তিনি এই শহর সফর করবেন।
চলতি বছরে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হিন্নামনর এই সপ্তাহের শুরুতেই দেশটিতে আঘাত হানে। এর প্রভাবে ভারি ঝড়-বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছে। এ ছাড়া তীব্র দাবদাহের পর দেশটিতে ভারি বৃষ্টিপাত চলছেই।
গত আগস্টে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে সিউলে বন্যা দেখা দেয়। সে সময় বেজমেন্ট অ্যাপার্টমেন্টে আটকা পড়ে ৩ জনসহ মোট ৮ জন প্রাণ হারান।