ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অনেক দিক থেকেই অনন্য, তবে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে তার খতিয়ানের ধারেকাছে নেই কেউ। কোনো রাজা বা রানি অথবা রাষ্ট্রপ্রধান এত বেশিসংখ্যক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেননি।
লন্ডনের মেফেয়ারে ইয়র্কের ডিউক এবং ডাচেস (পরে রাজা জর্জ এবং রানি এলিজাবেথ)-এর প্রথম সন্তান এলিজাবেথ আলেকজান্ড্রা মেরি।
তার বাবা ১৯৩৬ সালে নিজের ভাই রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের পর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তখন থেকেই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ছিলেন ১০ বছরের এলিজাবেথ।
১৭ বছরের অপেক্ষায় অবসান ঘটে ১৯৫৩ সালে। এ বছরের ২ জুন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মুকুট মাথায় নেন ২৭ বছরের এলিজাবেথ। তবে এক বছর আগে ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজা জর্জ মারা গেলে, সেদিনই রানি হন এলিজাবেথ।
৭০ বছরের শাসনামলে এর আগে ১৪ জনকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। লিজ ট্রাস ১৫তম ব্যক্তি, যিনি মঙ্গলবার এ খাতায় নাম লেখালেন। রেওয়াজটি ‘কিসিং অফ হ্যান্ডস’ নামে পরিচিত।
স্যার অ্যান্থনি ইডেন থেকে শুরু করে বরিস জনসন পর্যন্ত ১৩ জন প্রধানমন্ত্রী ‘হাত চুম্বন’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। রানির সিংহাসনে আরোহন করার সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন উইনস্টন চার্চিল।
আয়োজনটি ‘কিসিং অফ হ্যান্ডস’ নামে পরিচিত হলেও, প্রকৃতপক্ষে এখানে রানির হাতে চুমু খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ নিতে আসারা কেবল রানির সঙ্গে হাত মেলানোর সুযোগ পান।
রানির প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে ১২ জনই পুরুষ। মার্গারেট থ্যাচার এবং টেরিজা মে-এর পর ট্রাস তৃতীয় নারী।
রানির শাসনামলে কাজ করাদের ১১জন রক্ষণশীল। উইলসন, ক্যালাগান, ব্লেয়ার এবং ব্রাউন - প্রতিনিধিত্ব করেছেন লেবার পার্টির।