বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইয়াবায় জর্জরিত সৌদি আরব

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:২৩

সৌদি আরবে রমজান মাস চলাকালীন এক ব্যক্তি ইফতারের আগে নিজের বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় তার পরিবারের চার সদস্য মারা যান। স্থানীয় গণমাধ্যম পুলিশ সূত্র জানায়, বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া ব্যক্তিটি সে সময় ইয়াবার প্রভাবেই ছিলেন।

সৌদি আরবে বাড়ছে ইয়াবা কেনাবেচা ও ইয়াবাসেবীর সংখ্যা। দেশটিতে ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি অন্যান্য মাদক সেবন এত বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে যে পশ্চিমা গণমাধ্যমে সৌদি আরবকে মধ্যপ্রাচ্যে মাদকের রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করছে।

এই এপ্রিলেই সৌদি আরবে রমজান মাস চলাকালীন এক ব্যক্তি ইফতারের আগে নিজের বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় তার পরিবারের চার সদস্য মারা যান।

স্থানীয় গণমাধ্যম পুলিশ সূত্র জানায়, বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া ব্যক্তিটি সে সময় ইয়াবার প্রভাবেই ছিলেন।

যদিও সৌদি আরবে ইয়াবার বদলে মাদকটি সাবু নামে পরিচিত। যার প্রধান উপাদান মেথাএমফিটামিন ও ক্যাফেইন।

সৌদি গণমাধ্যমগুলোও ইদানীং দেশটিতে মাদক বৃদ্ধির বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে।

এক সৌদি কলামিস্ট দেশটির ভেতরে মাদকের চালানের বিষয়টিকে দেখছেন সৌদির বিরুদ্ধে এক উন্মুক্ত যুদ্ধ হিসেবে, যা যেকোনো যুদ্ধের চেয়েও বিপজ্জনক।

গত বুধবার সৌদি কর্তৃপক্ষ ৪৭ লাখ পিস এমফিটামিন বড়ির (ইয়াবা বানানোর উপাদান) একটি চালান আটক করেছে। দেশটির ইতিহাসে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় মাদক উদ্ধারের ঘটনা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মাদক উদ্ধারের ঘটনাই দেখায় যে মাদকের রাজধানী হিসেবে সৌদি আরবে বাড়তে থাকা চাহিদার কারণে সিরিয়া ও লেবানন থেকে চোরাচালানকারীদের প্রাথমিক গন্তব্য হয়ে উঠছে।

সৌদি আরবের রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থার কারণে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে বর্তমানে দেশটির কার্যত শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যে অপেক্ষাকৃত মুক্ত সমাজ তৈরি করতে চাচ্ছেন, তা মাদক সেবন কমিয়ে আনতে পারে।

এরই মধ্যে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ায় দেশটিতে বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের কারণে দেশটির রাসায়নিক কারখানাগুলোতে মাদক তৈরি করা হচ্ছে এবং তা বিক্রি করে তোলা হচ্ছে যুদ্ধের খরচ। এই মাদকগুলোরও প্রধান গন্তব্যস্থলও হয়ে উঠছে সৌদি। এ ছাড়া বাইরে থেকেও আসছে মাদক।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড ওমান উপসাগরে একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে ৩২০ কিলোগ্রাম এমফিটামিন বড়ি এবং তিন হাজার কিলোগ্রাম হাশিশ আটক করেছে।

দেশটির মাদক পরিস্থিতির বিষয়ে মন্তব্য শুনতে সৌদি আরবের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিএনএন। তবে সিএনএনের অনুরোধে সাড়া দেয়নি তারা।

এ বিভাগের আরো খবর