পাকিস্তানে বন্যায় ভেসে গেছে দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল। পানির মধ্যে আবদ্ধ হলেও দেশটিতে বন্যা আক্রান্ত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির হাহাকার।
এমন পরিস্থিতিতে সহায়তা কর্মীরা বলছেন, বিশুদ্ধ পানির অভাবে দেশটিতে রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
ফলে পানিবাহিত রোগে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ছে। কারণ দেশটিতে বন্যাক্রান্ত প্রতি ৩ জনের ১ জন শিশু।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে যে বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতার কারণে পাকিস্তানে রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও বেশি শিশু মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইউনিসেফের কর্মী আবদুল্লাহ ফাদিল জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগ এবং ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। শিশুরাও সেই ঝুঁকিতে রয়েছে।
চিকিৎসা দাতব্য সংস্থা সানস ফ্রন্টিয়ার্স বলছে, যারা খাবার ও আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য পানযোগ্য পানি পাওয়া ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা।
এই বন্যা মোকাবিলায় পাকিস্তান সরকারের চেষ্টার খুব একটা ফল পাচ্ছে না বন্যায় আক্রান্তরা।
এরই মধ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়েছে।
তবে ব্যর্থতার দায় একেবারে অস্বীকার করেনি দেশটির সরকার। সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, নজিরবিহীন সংকট মোকাবিলার মতো সম্পদ দেশে নেই।
তিনি বলেন, বন্যা সাম্প্রতিক বিশ্ব ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ জলবায়ুজনিত বিপর্যয়।
রেকর্ড বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ১৪ লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ। বন্যার কারণে পাকিস্তানের ক্ষতি কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা।
পাকিস্তান বন্যার আগে থেকেই অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছিল।