বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যে কারাগারে বন্দিরা খান ‘পাঁচ তারকা হোটেলের’ খাবার

  •    
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:৩৮

জেলার জানান, রান্নার প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে এ জেলখানায় রুটির মেশিন, ময়দা মাখার মেশিন এবং সবজি কাটার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন রান্না করা খাবার পরীক্ষা করা হয়। বন্দিরাও খাবার খেয়ে সন্তুষ্ট।

অধিকাংশ কারাগারে বন্দিদের রাখার পরিবেশই যখন নাজুক, তখন খাবারের মান নিয়ে আশা করাটাও বোকামি। কিন্তু ভারতের একটি কারাগার ঘুরে আসলে এ তথ্য আপনার ভুল মনে হতে পারে।

রীতিমতো পাঁচ তারকা হোটেলের খাবারের মতোই খাবারের আয়োজন রয়েছে উত্তর প্রদেশের ফারুখাবাদ জেলার ফতেগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ১১৪৪ বন্দির জন্য প্রতিদিন এই কারাগারে যে খাবারের ব্যবস্থা হয়, সেই খাবারগুলোকে পাঁচ তারকা হোটেলের খাবারের মানের স্বীকৃতি দিয়েছে দেশটির ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি (এফএসএসএআই)।

এফএসএসএআইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটির নির্দেশিকা অনুসারে এই কারাগারের খাবারের মানের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

সার্টিফিকেটে কারাগারটির খাবারের মান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দারুণ ও পাঁচ তারকা হোটেলের খাবারের মতোই এই খাবার। ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত এই সার্টিফিকেটের মেয়াদ। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে দেয়া হয়েছে এ স্বীকৃতি।

কারাগারের জেলার অখিলেশ কুমার বলেন, তৃতীয় পক্ষের পর্যবেক্ষণের পরই আমাদের এই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কারাগারের কয়েকজন কর্মীকে অনলাইনে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, সার্টিফিকেট দেয়ার সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাবারের মান, চাল-আটা কোথা থেকে কেনা হচ্ছে এবং রান্নার সঙ্গে জড়িতদের পোশাকও পরীক্ষা করা হয়েছে।

জেলার অখিলেশ জানান, এখানে নিরামিষভোজীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিনই দেয়া হয় নতুন নতুন খাবার।

তিনি জানান, সকালের জন্য দুই দিন ছোলার ডাল, দুই দিন পাউরুটি ও তিন দিন ডালিয়া দেয়া হয়। এ ছাড়া খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ডালও দেয়া হয়।

৩০ থেকে ৩৫ জন রান্নার সঙ্গে জড়িত জানিয়ে এই জেলার বলেন, মাসের প্রথম, তৃতীয় এবং শেষ রোববার সন্ধ্যায় পুরি, সবজি এবং হালুয়া দেয়া হয় বন্দিদের জন্য। আর দ্বিতীয় রোববার দেয়া হয় কড়ি-চাওয়াল।

তিনি জানান, কারাগারে যারা খাবার তৈরিতে নিয়োজিত তারা স্বাস্থ্যকর অবস্থায় অ্যাপ্রোন পরে কাজ করেন। তারা যেন নখ ও চুল পরিষ্কার রাখেন সেটাও নিশ্চিত করা হয়। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় যেমন দেখা যায় আমাদের পরিবেশও তেমন।

জেলার জানান, রান্নার প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে এ জেলখানায় রুটির মেশিন, ময়দা মাখার মেশিন এবং সবজি কাটার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন রান্না করা খাবার পরীক্ষা করা হয়। বন্দিরাও খাবার খেয়ে সন্তুষ্ট।

এ বিভাগের আরো খবর