ভারতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।
বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্য তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি করেন।
তিনি আবেদনে ইডি, সিবিআই ও আয়কর দপ্তরকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার সদস্যদের ‘অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির’ তদন্ত দাবি করেছেন।
এদিকে তৃণমূলের ১৯ জন নেতা মন্ত্রীর অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা চলমান। সেখানে হাইকোর্ট এই মামলার ইডিকে পক্ষ করতে নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূলের তরফে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
আইনজীবী তরুণ জ্যোতি বলেন, ‘যেসব নথি প্রকাশ্যে এসেছে, তা থেকে দেখা যাচ্ছে ২০১১ সালের পর থেকে মমতার পরিবারের সম্পত্তি ক্রমে বেড়েছে। একাধিক সরকারি সম্পত্তি বাজার দরের চেয়ে অনেক কম টাকায় কিনেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে ২০১৩ সালের পর এসব সম্পত্তি কেনা হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি কেনা এবং চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই আইনজীবী।
সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, ‘শুনলাম, বিজেপি আমার নামে মামলা করেছে। আমি তো ১২ বছর ধরে এমপি হিসেবে যে পেনশন পাই, তাও নিই না। এমপি হওয়ার পর কোনো দিন বিজনেস ক্লাসে যাত্রা করিনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রাপ্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা, তাও নিই না। থাকি ভাড়া বাসায়, আমার নিজের বলতে তো কিছু নেই।
‘বই বিক্রির টাকা থেকে আমার চলে যায়। আমরা ভাই-বোনেরা সবাই আলাদা আলাদা থাকি। কখনো সখনো দেখা হয়। উৎসবের মৌসুমে আমাদের যোগাযোগ হয়।’