পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় মৃত্যু হাজার ছাড়িয়েছে। দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্যোগে। খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির বরাতে রেডিও পাকিস্তান বলছে, বৃষ্টি এবং বন্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনায় ১ হাজার ৫২৭ জন আহত হয়েছেন। হারানো গেছে ৭১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি গবাদি পশু।
এ ছাড়া পাকিস্তানজুড়ে ৩ হাজার ৪৫১ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা, ১৪৯টি সেতু, ১৭০টি দোকান এবং ৯ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেচ বিভাগ জানায়, ওয়ারসাকে কাবুল নদীতে ১ লাখ ৩ হাজার ৬১৪ কিউসেক এবং আদেজাই সেতুতে ৫৪ হাজার ৪৯৫ কিউসেকসহ ‘মাঝারি’ প্রবাহের সঙ্গে ‘উচ্চ’ প্রবাহের খবর পাওয়া গেছে।
কেপির নওশেরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাবুল নদীর পানির স্তর ক্রমাগত কমছে। আগামী পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে তা আরও নিচে নামতে পারে।
অন্যদিকে, চশমায় সিন্ধু নদীতে পানির প্রবাহ বেড়েছে। এখানে প্রবাহ এবং বহিঃপ্রবাহের মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ৫২ লাখ ৫ হাজার ৩৬২ এবং ৫১ লাখ ৯ হাজার ৩৬২ কিউসেক।
ফ্লাড সেল বলছে, কেপির বাকি নদীগুলো নিম্ন, স্বাভাবিক এবং মাঝারি স্তরে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কেপির মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে ১০০ মিলিয়ন রুপি সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য বাদাখশন প্রদেশের কোহিস্তান জেলার গাব্বার এবং মাজো এলাকায় দুটি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ট্যুর অপারেটর সৈয়দ আকিল শাহ।
তিনি বলেন, ‘কুমরাট উপত্যকা থেকে নারী ও শিশুসহ আরও ৩৫ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। কুমরাটে এখনও অনেক পর্যটক আটকা আছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ নওশেরা এবং চরসাদ্দা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের জন্য ২৫ হাজার রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। আর নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দেয়া হবে ১০ লাখ রুপি। ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব বিতরণ করা হবে।