বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবুসোনাকে হত্যার পেছনে প্রেমের ফাঁদের গল্প

  •    
  • ২৯ আগস্ট, ২০২২ ১৭:০৩

পুলিশ বলছে, নমিতার সঙ্গে বাবুসোনার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তাতে আপত্তি ছিল নমিতার স্বামী প্রহ্লাদের। তাই তিনি স্ত্রীকে ব্যবহার করে বাবুসোনাকে হত্যার ‘ফাঁদ’ পেতেছিলেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে গলা কেটে হত্যার পর বেরিয়ে এসেছে, তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে একটি চক্র।

নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পীরপুর গ্রামের দুর্গাপুর এলাকায় গত ২১ আগস্ট ওই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা

এরই মধ্যে অভিযুক্ত কথিত প্রেমিকা ও তার স্বামীসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কৌশলে এই নেতাকে হত্যার কথা স্বীকারও করেছেন।

কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের ধুবুলিয়ার মায়াকোল এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী বাবুসোনা ঘোষ। কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বাবুসোনার স্ত্রী শ্যামলী ঘোষ তার নিখোঁজের খবর জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরই তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকারীরা শ্যামলীর কাছে জানতে পারেন, গত ১৯ আগস্ট সকালে বাবুসোনার বাড়িতে গিয়ে ২১ আগস্ট তাকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান কৃষ্ণগঞ্জের দুর্গাপুরের বাসিন্দা নমিতা ঘোষ এবং তার স্বামী প্রহ্লাদ ঘোষ। সে অনুযায়ী ২১ আগস্ট বিকেলে নমিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন বাবুসোনা।

এর পর থেকে খোঁজ মিলছিল না তৃণমূল নেতার। তদন্ত শুরু হলে প্রহ্লাদ এবং নমিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বাবুসোনার মোবাইলের লোকেশন খতিয়ে দেখে তার কাটা মাথা উদ্ধার করে।

তদন্তকারীদের দাবি, জেরার মুখে পড়ে নমিতা স্বীকার করে নিয়েছেন বাবুসোনাকে ‘ফাঁদ’ পেতে হত্যার কথা। গ্রেপ্তার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত প্রহ্লাদের দুই আত্মীয় শঙ্কর ঘোষ এবং প্রসেনজিৎ ঘোষও।

পুলিশ বলছে, নমিতার সঙ্গে বাবুসোনার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তাতে আপত্তি ছিল নমিতার স্বামী প্রহ্লাদের। তাই তিনি স্ত্রীকে ব্যবহার করে বাবুসোনাকে হত্যার ‘ফাঁদ’ পেতেছিলেন।

তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, কথিত প্রেমিকা নমিতার আমন্ত্রণ পেয়ে বাবুসোনা তার বাড়িতে যান। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে বাড়ির পাশে একটি কলাবাগানে যান নমিতা। সেখানে তারা ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিলেন। যেখানে আগে থেকেই ছিলেন প্রহ্লাদ, শঙ্কর ঘোষ ও প্রসেনজিৎ।

পুলিশ বলছে, তিনজন মিলে বাবুসোনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তারা কাঁধে করে বাবুসোনার মরদেহ নিয়ে যান ২০০ মিটার দূরে মাথাভাঙা নদীতে। সেখানে ডুবিয়ে রাখা পাটের বোঝার ওপর রাখা হয় বাবুসোনার মরদেহ। ধারালো অস্ত্রের কোপে ধড়-মুণ্ডু আলাদা করে দেন শঙ্কর। এরপর ধড় পুঁতে দেয়া হয় পাটের বোঝার নিচে।

তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, বাবুসোনার মুণ্ডুটি দেড় কিলোমিটার দূরের জঙ্গলে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেয়া হয়। ধড়টি ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। এখন পর্যন্ত বাবুসোনার মাথাটি পাওয়া গেলেও উদ্ধার হয়নি মরদেহের বাকি অংশ।

কৃষ্ণনগর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় বলেন, অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে প্রহ্লাদ এবং নমিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাই হত্যার বিষয়টা স্বীকার করেন। কৃষ্ণগঞ্জ এলাকা থেকে শঙ্কর ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়। শঙ্কর জেরায় স্বীকার করেছেন, তিনিই ধড় থেকে মুণ্ডু আলাদা করার কাজটি করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর