বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ছুটি কাটিয়ে স্কুলে ফিরল ফিলিপাইনের লাখ লাখ শিক্ষার্থী। করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে বাড়ি থেকে পাঠদানে অংশ নিত এসব ছাত্র-ছাত্রী।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সোমবার দেশটির প্রায় অর্ধেক স্কুলে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়। প্রায় ২৪ হাজার পাবলিক স্কুলে এখন থেকে সপ্তাহে ৫ দিন পাঠদান চলবে। বাকি স্কুলগুলোয় ব্যক্তিগত বা অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস হবে।
ফিলিপাইনের শিক্ষা কর্মকর্তারা আশা করছেন, নভেম্বরের মধ্যে ফিলিপাইনের নিবন্ধিত ২ কোটি ৭০ লাখ স্কুলশিক্ষার্থীই সশরীরে ক্লাসে অংশ নেবে। শ্রেণিকক্ষের সংকট এবং ভিড় এড়াতে অনেক স্কুলে শিফট করে পাঠদান চলবে।
করোনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়ে ফিলিপাইন। দেশটিতে প্রায় ৩০ লাখ আক্রান্তের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজার মানুষ।
ম্যানিলার সান পেড্রো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সোফিয়া ম্যাকাহিলিগ বলে, ‘দুই বছর ধরে অনলাইনে ক্লাস করছি। স্কুলে এসে সহপাঠী ও শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় অনেক উচ্ছ্বসিত আমি।’
‘আমরা অনেক মজা করতাম, এখন আবার মজা করব।’
ফিলিপানের শিক্ষা বিভাগ বলছে, লম্বা ছুটি ছাড়া উপায় ছিল না। কারণ বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই তাদের অভিভাবক কিংবা বৃদ্ধ দাদা-দাদির সঙ্গে একই বাড়িতে বাস করে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্ক আছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্যানিটাইজার ব্যবহার ও মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হচ্ছে কঠোরভাবে। স্কুলে গেটে সবার তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এ দীর্ঘ বিরতি শিক্ষা সংকটকে আরও নাজুক করেছে। মহামারি তাদের মনোজগতে শক্ত প্রভাব ফেলেছে।
দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং দারিদ্র্য- শিশুদের শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছে ইউনিসেফ।