বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিলকিস বানো ধর্ষণে অভিযুক্তদের মুক্তির প্রতিবাদ

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২২ ১৬:২৯

সময়ের আগে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ৬ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী তার টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তদের সময়ের আগে মুক্তি দেয়া হলো কেন? তাহলে ১৫ আগস্টের বক্তব্যের সারবত্তা কী?’

বিলকিস বানো গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তদের সময়ের আগে মুক্তি দেয়ায় এবার টুইটারে লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের দুই নারী সাংসদ।

বৃহস্পতিবার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী তার টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তদের সময়ের আগে মুক্তি দেয়া হলো কেন? তাহলে ১৫ আগস্টের বক্তব্যের সারবত্তা কী? আপনি তো নারীদের সম্মান দেয়ার কথা বলেছিলেন, একজন নারী হিসেবেই এই কথা বলছি। আমি ক্ষুব্ধ ও ভগ্নহৃদয়।’

১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেয়া ভাষণের প্রতি ইঙ্গিত করে মিমি এ কথা লেখেন। সেখানে নারী অধিকার ও নিরাপত্তায় জোর দেয়ার কথা বলা হয়।

মিমি চক্রবর্তী আরও একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সব বাড়িতেই তো তেরঙ্গা ওড়ানো হলো, কিন্তু স্বাধীনতা কি পাওয়া গেল ৭৫ বছর পরেও? নিজেকে প্রশ্ন করুন।’

নুসরাত জাহান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনিও টুইটারে লিখেছেন, ‘কবে এমন অন্যায় শেষ হবে, তার অপেক্ষায়। তিনিও অপেক্ষায়। বিলকিস বানো। বিচার ও সততার প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু সত্যিটা হলো, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের মুক্তির পর মিষ্টি বিতরণ করা হচ্ছে।’

ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্তদের সময়ের আগে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিলকিস বানোর স্বামী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কেন সরকার দোষীদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো কিছুই জানতাম না।’

ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে নিয়ম ভেঙে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যেভাবে সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষণকারীদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার, যেভাবে জেল মুক্ত সাজাপ্রাপ্তদের ফুলের মালা দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সংবর্ধনা দিয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ ভারতের নাগরিক সমাজের একাংশ।

সময়ের আগে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ছয় হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এই আবেদনের তালিকায় রয়েছেন সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে লেখক, শিল্পী, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, চিত্রপরিচালকসহ সমাজের সব শ্রেণির মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর