শর্ত না মানায় টিকটক, টেলিগ্রাম, জুম, ডিসকোর্ড, প্রিন্টারেস্টসহ বিদেশি আইটি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে রাশিয়া। এক বিবৃতিতে শুক্রবার এসব জানায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ নজরদারি সংস্থা-রোসকোমনাডজোর।
বলা হয়, যেসব বিষয়বস্তুকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো সরিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে এসব সংস্থা। শর্ত না মানা পর্যন্ত বহাল থাকবে শাস্তি।
তবে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা উল্লেখ করেনি রোসকোমনাডজোর।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই গুগলসহ আইটি কোম্পানিগুলোর ওপর জরিমানা আরোপের হুমকি দিয়ে আসছিল রাশিয়া। মস্কোর অভিযোগ, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী সম্পর্কে ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে আইন লঙ্ঘন করেছে তারা৷
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নাম দিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের এক মাসের মধ্যে মার্চে রোসকোমনাডজোর সতর্ক করেছিল যে সামরিক অভিযানকে ‘আগ্রাসন’, আক্রমণ’ বা ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ উল্লেখ করা ওয়েবসাইটগুলোকে ব্লক করা হবে।
গত মঙ্গলবার রাশিয়ান আদালত সামরিক সেন্সরশিপ আইন লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লাইভ স্ট্রিমিং পরিষেবা টুইচকে দুই মিলিয়ন রুবেল (প্রায় ৩৩ হাজার ডলার) জরিমানা করে। এদিন মেসেঞ্জার পরিষেবা টেলিগ্রামকে ১১ মিলিয়ন রুবেল (এক লাখ ৭৯ হাজার ডলার) জরিমানা করা হয়।
যুক্তরাজের সরকারি যোগাযোগ সদরদপ্তর (জিসিএইচকিও) বলছে, সাইবারস্পেসে তথ্য যুদ্ধে হেরে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এ পদক্ষেপ নিচ্ছে রাশিয়া।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশই তাদের সাইবার-ক্ষমতা প্রয়োগ করছে বলে মনে করছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রধান জেরেমি ফ্লেমিং।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন এবং পশ্চিমের তথ্যযুদ্ধে চরমভাবে হেরেছেন। যদিও এটি উদযাপনের বিষয়, তবে বিশ্বের অন্য কোথাও কীভাবে রাশিয়ান বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে, তা আমাদের অবমূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।’
ইউক্রেনের সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস ও বিকৃত করার জন্য রাশিয়া হুইস্পারগেট ম্যালওয়্যার মোতায়েন করেছে বলে দাবি করেছেন ফ্লেমিং।
তিনি বলেন, ‘সিরিয়া এবং বলকানে একই সাইবারওয়ারফেয়ার প্লেবুক ব্যবহার করেছে রাশিয়া। অনলাইনে বিভ্রান্তি ছড়ানো রাশিয়ার পুরোনো কৌশল।
‘আক্রমণাত্মক সাইবার-সরঞ্জাম মোতায়েন করে রাশিয়াকে উপযুক্ত জবাব দিতে পারে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার ফোর্স।’