ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই পুরো মাত্রায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে তুরস্ক ও ইসরায়েল। উভয় দেশই পুনরায় রাষ্ট্রদূত পাঠানোতে সম্মত হয়েছে।
বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের এক সংলাপের পর রাষ্ট্রদূত নিয়োগের বিষয়টি জানানো হলো।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ টুইটারে এক বার্তায় এরদোয়ানের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি ও পুরো মাত্রায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪ বছর আগে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে আমেরিকা স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনিরা আন্দোলন শুরু করে। সে সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হলে তার প্রতিবাদস্বরূপ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে আংকারা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে তেলআবিবও।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ
সে সময় ৬০ ফিলিস্তিনি হত্যার প্রতিবাদে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও এবং এরদোয়ান রাখঢাকহীনভাবে ইসরায়েলের সমালোচনা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামিক জিহাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অভিযানে ৫০ জনের মতো ফিলিস্তিনি হত্যার মধ্যেই এই কূটনৈতিক সম্পর্কের উদ্যোগ নিতে সম্মত হলো তুরস্ক।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বরাবরই বলে আসছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতা ও ইসরায়েলের সঙ্গে জ্বালানিসংক্রান্ত বিষয়ে তুরস্কের একই স্বার্থ রয়েছে।
এর আগে প্রায় এক দশকের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর গত মার্চে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ তুরস্ক সফর করেন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে এক নতুন যুগের ঘোষণা করেন।
আলোচনার পর সে সময় ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হয়ে এরদোয়ান ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের তুর্কি সফরকে তুর্কি-ইসরায়েল সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘ঐতিহাসিক’ ও ‘মোড় ঘুরিয়ে দেয়া’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
এ সময় এরদোয়ান বলেছিলেন, ‘আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য হলো পারস্পরিক সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দুই দেশের রাজনৈতিক সংলাপ পুনরায় শুরু করা।’
এ ছাড়া গত নভেম্বরে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তর জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের বিকল্প নেই। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সংকট সমাধানে সমঝোতার উদ্দেশ্যে আলোচনা হলে মতবিরোধ কমানো সম্ভব।