বিশ্ববাজারে আরও কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত তেল ৩ ডলার করে কমে ৯০ ডলারের নিচে নেমেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ চীনে চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ এবং ইরানের পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাবের পর দেশটি থেকে তেল রপ্তানি বেড়ে গেছে। এর ফলেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরেক দফা কমেছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারে দাম ৩ দশমিক ৪৯ ডলার বা ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৯৪ দশমিক ৬৬ ডলারে নেমেছে, যা গত শুক্রবারের চেয়ে দেড় শতাংশ কম।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে অপরিশোধিত তেলের দাম ৩ দশমিক ৩২ ডলার বা ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেলে দাম এখন ৮৮ দশমিক ৭৭ ডলার, যা ২ দশমিক ৪ শতাংশ আগের সেশন থেকে কম।
চীন সরকারের এক তথ্য বলছে, গত মাস থেকে দেশটির অর্থনীতি অপ্রত্যাশিতভাবে ধীর হয়ে এসেছে। এতে তেল শোধনাগারগুলোতে উৎপাদন দিনে ১ কোটি ২৫ লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছে, যা ২০২০ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন।
আইএসজি ব্যাংক তাদের পূর্বাভাসে বলছে, ২০২২ সালে চীনের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ হবে, যা আগে ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
পাশাপাশি করোনাভাইসের কারণে চীনের মূল ভূখণ্ডে কমে গেছে কর্মসংস্থানও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে ২০১৫ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ফলে ইরান থেকে তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে। আর সেটি উঠে গেলে ইরান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তেল আমদানি করতে পারবে।
এমন অবস্থায় বিশ্ববাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এবং তেলের দাম কমে গেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরমাণু চুক্তি বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপে তারা সোমবারই সাড়া দেবে। তবে পরমাণু চুক্তিটি এখানেই রফাদফা হতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র তিনটি বিষয়ে ইরানের প্রস্তাব রাখে।