ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ সত্ত্বেও চীনের বিতর্কিত গবেষণা জাহাজকে তীরে ভেড়ার অনুমতি দেয়ার কথা জানিয়েছে সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক নৌ চলাচল ও অ্যানালিটিকস সংক্রান্ত বিভিন্ন সাইট ‘ইউয়ান ওয়াং ফাইভ’ নামের জাহাজটিকে গবেষণা ও জরিপ তরি হিসেবে পরিচিত করেছে, তবে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জাহাজটি দিয়ে একই সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তিও করা হয়।
স্বাধীনতা পরবর্তী সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করেছে চীন ও ভারত। যেকোনো দেশের তুলনায় শ্রীলঙ্কাকে বেশি সহায়তা করেছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটি, তবে ভারতের ভয়, এশিয়া-ইউরোপের প্রধান নৌ চলাচল পথের কাছে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করবে বৈশ্বিক পরাশক্তি চীন।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় হাম্বানটোটা বন্দরে ইউয়ান ওয়াং ফাইভের নোঙর করার কথা ছিল গত ১১ আগস্ট। অনুমতি পাওয়ার পর এটি তীরে ভিড়বে মঙ্গলবার।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের জেরে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভের পর গত ১৩ জুলাই দেশ ছেড়ে পালান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর এক দিন আগে শ্রীলঙ্কার উপকূলে আসার অনুমতি পেয়েছিল চীনের জাহাজটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহাশূন্য ও স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের কাজে মোতায়েন করা হতে পারে চীনা জাহাজটিকে। আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কাজেও এটি ব্যবহার করা হয়।