সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ তুলেছেন শাসক দল তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীরা।
তৃণমূল বলছে, ‘আমাদের কোন লুকোচাপা নেই। তবু দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাগ লাগানোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা।’
বুধবার বিধানসভায় ডাকা তৃণমূলের সংবাদ সম্মেলনে ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, শিউলি সাহা, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন।
এ দিন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত দুদিন ধরে রাজ্যে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের ১৯ নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি এবং জনস্বার্থ মামলা। আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলার নেই। আইন আইনের মতো চলবে।’
এ দিন ব্রাত্য বলেন, 'সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য, আবু হেনা, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, নেপাল মাহাতো, ধীরেন বাগদি সহ একাধিক ব্যক্তির। তালিকায় তাদের নামও রয়েছে। সেগুলো নিয়ে কোন চর্চা হচ্ছে না কেন ? একটা ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তৃণমূলই কেবল দুর্নীতিগ্রস্ত।’
অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'নির্বাচনী হলফনামায় আয়-ব্যয়ের সমস্ত হিসাব দিয়েছি । আয়কর দপ্তর কোন পদক্ষেপ করেনি। রোজগার করা, সম্পত্তি বাড়ানো কোন অন্যায় নয়। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা।'
২০১১ সাল থেকে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় দেয়া সম্পত্তির পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে। ২০১৭ সালে এ বিষয়ে বিপ্লব কুমার চৌধুরী ও অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে দুই ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। এই মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায়, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, শিউলি সাহা ও অন্যান্য নেতা মন্ত্রীদের নাম রয়েছে।