ভারতের আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে মজবুত করতে ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলনের’ ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো আন্দোলন’ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
আন্দোলনের অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ‘কাশ্মীর থেকে কনাকুমারী পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা’ বের করতে চলেছে।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। কংগ্রেসের উদ্দেশ্য, এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সাধারণ ভারতীয়দের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
এই যাত্রা দলের নেতারা ১৫০ দিনে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে এবং ভারতের ১২টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাবে ভারত জোড়ো যাত্রা।
এই যাত্রায় দলের শীর্ষ নেতা ও সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী যোগ দেবেন।
সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘কংগ্রেস ৮০ বছর আগে শুরু হওয়া ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সঙ্গে দলের যাত্রাকে সংযুক্ত করেছে।’
১৯৪২ সালের ৯ আগস্ট মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন শুরু হয়। এর ঠিক পাঁচ বছর ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার ফলে স্বাধীন ভারতের জন্ম হয়।
জয়রাম বলেন, ‘ভয়, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কারের রাজনীতি, জীবিকা ধ্বংসের রাজনীতি, বাড়তে থাকা বেকারত্ব এবং বৈষম্যের রাজনীতির বিকল্প প্রদানের জন্য ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেয়ার জন্য সবার কাছে আবেদন করেছে কংগ্রেস।’
এই কর্মসূচি নিয়ে কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আজকের দিনেই ভারত ছাড়ো আন্দোলনের হুঙ্কারের সঙ্গে একজোট হয়ে ভারতবাসী নিষ্ঠুর ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। এই এক জোট হওয়ার ক্ষমতাই আমাদের বড় শক্তি। বিভেদের মধ্যে একতার পতাকা তুলে ধরে ভারত জোড়ো নতুন উন্নয়নের সংকল্প তৈরি করবে।’
কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই যাত্রা ৬৮টি সংসদীয় কেন্দ্র ও ২০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রতে যাবে। যে রাজ্যগুলোতে এই যাত্রা যাবে, তার মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ্ম মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড় ও জম্মু-কাশ্মীর।
গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে চলতি বছর নির্বাচনের কথা থাকলেও ভারত জোড়ো যাত্রার আওতায় এই দুই প্রদেশ নেই।
কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হবে ৩০ জানুয়ারি।
৩০ জানুয়ারিতেই নাথুরাম গডসের হাতে ১৯৪৮ সালে নিহত হন মহাত্মা গান্ধী।