বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের ফোন ‘ধরছে না’ চীন

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২২ ১৪:২৮

সবশেষ জুনে লয়েড অস্টিনের সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ে ফেনঘির সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছে। মার্ক মিলির সঙ্গে চীনের জয়েন্ট স্টাফ লি জুওচ্যাংয়ের সবশেষ কথা হয়েছে জুলাই মাসের ৭ তারিখ।

তাইওয়ানে আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনায় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। পুরো তাইওয়ানকে ঘিরে চালানো এই মহড়ায় তাজা গোলাবারুদ ব্যবহারের পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে চীনের সেনারা, কিন্তু তাইওয়ানের কাছাকাছিই রয়েছে আমেরিকার নৌবহরও।

সৃষ্ট এই জটিল পরিস্থিতিতে পেন্টাগনের শীর্ষ কর্তাদের ফোন ধরছেন না চীনের কর্মকর্তারা।

রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও জয়েন্ট চিফ জেনারেল মার্ক মিলি বেশ কয়েকবার বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন করলেও তা ধরেনি বেইজিংয়ের কেউ।

সবশেষ গত জুনে লয়েড অস্টিনের সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ে ফেনঘির সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছে।

মার্ক মিলির সঙ্গে চীনের জয়েন্ট স্টাফ লি জুওচ্যাংয়ের সবশেষ কথা হয়েছে জুলাই মাসের ৭ তারিখ।

এদিকে তাইওয়ানের কাছাকাছিই অবস্থান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরের। যেই নৌবহরে রয়েছে বিমানবাহী রণতরি, ডেস্ট্রয়ার, ক্রুজার।

এমন পরিস্থিতিতে চীনের সামরিক মহড়ায় যেকোনো ভুল-বোঝাবুঝি সর্বাত্মক সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

এদিকে শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে কিছু ক্ষেত্রের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে চীনা ও আমেরিকান কর্মকর্তাদের মধ্যে আর যোগাযোগ থাকবে না। এর মধ্যে রয়েছে থিয়েটার কমান্ডার স্তরে সামরিক যোগাযোগ এবং বৃহত্তর প্রতিরক্ষা নীতি সমন্বয় আলোচনা।

চীনের বিবৃতিতে বলা হয়, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা, ফৌজদারি বিষয়ে আইনি সহায়তা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ও মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান রাজনীতিক পেলোসি এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা দেয় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বেইজিংয়ের আপত্তি সত্ত্বেও পেলোসি গত মঙ্গলবার তাইওয়ান সফর করেন। স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের অংশ দাবি করে চীন। যুক্তরাষ্ট্র ৭০-এর দশক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘এক চীন’ নীতি স্বীকার করে আসছে।

বেইজিংয়ের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পরিবর্তন করার পরও ওয়াশিংটন তাইপের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

বেইজিং বলছে, ওয়াশিংটন ইচ্ছাকৃতভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করছে এবং তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উৎসাহ দিচ্ছে।

যদিও হোয়াইট হাউস পেলোসির অবস্থান থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর বলেছিল, তাইওয়ান যাওয়ার সিদ্ধান্ত পেলোসির ব্যক্তিগত।

চীনের কর্মকর্তারা এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা পরিণতির হুমকিও দিয়েছিলেন। শেষমেশ সব জল্পনা উড়িয়ে তাইওয়ান সফর করেন পেলোসি।

জবাবে চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তাইওয়ানের চারপাশে বৃহস্পতিবার থেকে বড় মহড়া শুরু করে, যা শেষ হচ্ছে রোববার। একে চীনা মিডিয়া পূর্ণ অবরোধের মহড়া হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর