দেশজুড়ে নতুন রোগী বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে মাঙ্কিপক্সকে গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির পরপরই জো বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয় বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এর মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স নিয়ন্ত্রণে টিকাদান ও এর চিকিৎসা কার্যক্রমের গতি আরও বাড়ানো হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নেয়া হচ্ছে আরও জরুরি পদক্ষেপ।
গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাঙ্কিপক্সকে বিশ্বজুড়ে গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। সর্বশেষ করোনাসহ ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সাতবার বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যানুসারে, দেশটিতে এখন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬০০-এর বেশি।
দেশটির মোট রোগীর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই নিউ ইয়র্কে। অঙ্গরাজ্যটি গত সপ্তাহে স্থানীয়ভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে ক্যালিফোর্নিয়া ও ইলিনয়।
সারা বিশ্বে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৬ হাজারের বেশি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
মাঙ্কিপক্স একটি জুনোটিক ভাইরাস; যার উপসর্গ গুটিবসন্তের মতো, তবে কম গুরুতর। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রমিত প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে এটির বিস্তার ঘটে। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির ত্বক, ক্ষত বা ড্রপলেটের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ৮০টি দেশ থেকে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মাঙ্কিপক্স অবশ্য নতুন কোনো রোগ নয়, আফ্রিকার দেশগুলোতে এর আগে কয়েকবার এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। ১৯৫০-এর দশকে প্রথম এ রোগ শনাক্ত হয় মধ্য আফ্রিকায়।