বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাইওয়ানের সামরিক সক্ষমতা কতটুকু

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২২ ১৫:২২

চীন যদি তাইওয়ান দখলের জন্য দ্বীপটি আক্রমণ করেই বসে, তাইওয়ান ঠিক কতটা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তাইওয়ান থেকে চীন ঠিক কতটা শক্তিশালী। ১৪২টি দেশের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বিচার করে তালিকা করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। সেই তালিকায় সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে চীনের অবস্থান ৩ নম্বরে। অন্যদিকে তাইওয়ানের অবস্থান ২১ নম্বরে।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে। চীন এরই মধ্যে তাইওয়ানের চারদিক ঘিরে মহড়া চালাচ্ছে। তাইওয়ানও যুদ্ধ সতর্কতা জারি করেছে।

তবে চীন যদি তাইওয়ান দখলের জন্য দ্বীপটি আক্রমণ করেই বসে, তাইওয়ান ঠিক কতটা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তাইওয়ানের থেকে চীন ঠিক কতটা শক্তিশালী।

১৪২টি দেশের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বিচার করে তালিকা করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। সেই তালিকায় সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে চীনের অবস্থান ৩ নম্বরে। দেশটির আগে রয়েছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। অন্যদিকে তাইওয়ানের অবস্থান ২১ নম্বরে

তাইওয়ানের সাঁজোয়া যান

চীন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। দেশটির জনসংখ্যা ১৩৯ কোটি। অন্যদিকে স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের জনসংখ্যা মাত্র ২ কোটি ৩০ লাখ।

প্রায় ২০ লাখ সদস্য রয়েছে চীনের সশস্ত্র বাহিনীতে। অন্যদিকে তাইওয়ানের সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার। তবে চীনের রিজার্ভ সেনার সংখ্যার থেকে তাইওয়ানের রিজার্ভ সেনার সংখ্যা বেশি। চীনের রিজার্ভ সেনা যেখানে ৫ লাখ ১০ হাজার, অন্যদিকে তাইওয়ানের রিজার্ভ সেনা ১৫ লাখ।

চীনের আধাসামরিক বাহিনীর সংখ্যা ৬ লাখ ২৪ হাজার। তাইওয়ানের আধাসামরিক বাহিনীতে রয়েছে মাত্র ১১ হাজার ৫০০ জন।

চীনের নৌবাহিনীর সাবমেরিন

সামরিক বাজেটের দিক থেকে বিশ্বে চীনের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের পরই। দেশটির সামরিক বাজেট ২৩০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে সামরিক বাজেটের দিক থেকে তাইওয়ানের অবস্থান বিশ্বে ১৭তম। দেশটির সামরিক বাজেট ১৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

চীনের সশস্ত্র বাহিনীতে ১ হাজার ২০০ যুদ্ধবিমানসহ মোট বিমানের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৫টি। অন্যদিকে তাইওয়ানের ২৮৮ যুদ্ধবিমানসহ মোট বিমানের সংখ্যা ৭৪১টি। তবে তাইওয়ানের পশ্চিমা বিমানগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষিত। অন্যদিকে চীন নিজস্বভাবে যেসব যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে, সেসব বিমান কখনোই কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি।

চীনের ২৮১টি অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ মোট হেলিকপ্টারের সংখ্যা ৯১২টি। অন্যদিকে তাইওয়ানের ৯১টি অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ মোট হেলিকপ্টার আছে ২০৮টি। তবে তাইওয়ানের কাছে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার।

চীনের ট্যাংক রয়েছে ৫ হাজার ২৫০টি। তাইওয়ানের ট্যাংকের সংখ্যা ১ হাজার ১১০টি। চীনের সাঁজোয়া যানের সংখ্যা ৩৫ হাজার, বিপরীতে তাইওয়ানের সাঁজোয়া যান মাত্র ৩ হাজার ৪৭২টি।

চীনের দুটি বিমানবাহী রণতরি থাকলেও তাইওয়ানের কোনো বিমানবাহী রণতরি নেই। চীনের একটি হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারও রয়েছে, তাইওয়ানের কোনো হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার নেই।

মহড়ায় তাইওয়ানের বিমান বাহিনীর পাইলটরা

চীনের সাবমেরিনের সংখ্যা ৭৯টি, অন্যদিকে তাইওয়ানের সাবমেরিন মাত্র ৪টি। চীনের ডেস্ট্রয়ার আছে ৪১টি, অপরদিকে তাইওয়ানের ডেস্ট্রয়ারের সংখ্যা ৪টি। চীনের ফ্রিগেট রয়েছে ৪৯টি, অপরদিকে তাইওয়ানের ফ্রিগেট রয়েছে ২২টি।

তাইওয়ানের কাছে ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ড সমরাস্ত্র থাকলেও চীনের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে দেশটি। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাইওয়ানে হামলা শুরু করলে চীনের বিরুদ্ধে লড়বে দেশটি।

এদিকে চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। চীন আগেই বলেছিল, এমন পরিস্থিতিতে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাবে বেইজিং।

এবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্যযুক্ত সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে বেইজিং।

চীনের ক্ষেপণাস্ত্র বহর

আলাদাভাবে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে যে মঙ্গলবার রাত থেকেই তাইওয়ানের কাছে যৌথ সামরিক অভিযান ও মহড়া পরিচালনা করবে তারা।

ইস্টার্ন কমান্ড জানিয়েছে, এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে পুরো তাইওয়ানকে ঘিরে। দ্বীপটির উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বে সমুদ্রে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ মহড়ায় অংশ নেবে। এসব মহড়ায় দূরপাল্লার লাইভ ফায়ারিং ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও থাকবে। ৪ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই মহড়া চলবে।

তবে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত সামরিক অভিযানে লক্ষ্যবস্তু কী হবে এবং ইস্টার্ন কমান্ডের মহড়া থেকে এটি আলাদা হবে কি না, তার বিশদ বিবরণ দেয়নি বেইজিং।

এদিকে বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ পূর্ব তাইওয়ানের কাছে মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বহরে আরও রয়েছে মিসাইল ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর