বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাজ্যকে আমেরিকার তালে নাচতে মানা করল বেইজিং

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২২ ১০:১৯

যুক্তরাজ্য ও চীনের রাষ্ট্রদূতদের বিনিময় চুক্তির যৌথ ইশতেহার অনুসারে ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে চীনের অবস্থানকে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং তাইওয়ান যে চীনের একটি প্রদেশ, তাও স্বীকার করে নেয়া হয়।

স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানে আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও চীনের মধ্যে। চীন এরই মধ্যে তাইওয়ানের চারদিক ঘিরে বিমান ও নৌমহড়া শুরু করেছে। তাইওয়ানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রধান মিত্র যুক্তরাজ্যকে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে চীন।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝেং জেগুয়াং সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যকে তার নিজস্ব প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে এবং তাইওয়ান ইস্যুর সংবেদনশীলতাকে অবমূল্যায়ন না করতে, আমেরিকার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আগুন নিয়ে না খেলার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত ঝেং এ সময় আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের নিন্দা করেছেন এবং এ ধরনের কাজকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, উসকানিমূলক ও বিপজ্জনক হিসেবে আখ্যায়িত করে এর দৃঢ় বিরোধিতা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘চীন তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমুন্নত রাখতে দৃঢ় ও জোরালো পদক্ষেপ নেবে। ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির দায়ভার নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে।’

এদিকে যুক্তরাজ্যের অনেক রাজনীতিবিদ তাইওয়ানকে রক্ষায় সহায়তার বিষয়ে কথা বলেছেন এবং দেশটির কয়েকজন পার্লামেন্ট মেম্বার তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনা করছেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় ঝেং বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমেরিকার সুরে নাচবে না যুক্তরাজ্য।’

যুক্তরাজ্য ও চীনের রাষ্ট্রদূতদের বিনিময় চুক্তির যৌথ ইশতেহার অনুসারে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে চীনের অবস্থানকে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং তাইওয়ান যে চীনের একটি প্রদেশ তাও স্বীকার করে নেয়া হয়।

এদিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্যযুক্ত সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে বেইজিং।

আলাদাভাবে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে যে মঙ্গলবার রাত থেকেই তাইওয়ানের কাছে যৌথ সামরিক অভিযান ও মহড়া পরিচালনা করবে তারা।

ইস্টার্ন কমান্ড জানিয়েছে, এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে পুরো তাইওয়ানকে ঘিরে। দ্বীপটির উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্রে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ মহড়ায় অংশ নেবে। এসব মহড়ায় দূরপাল্লার লাইভ ফায়ারিং ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও থাকবে। ৪ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই মহড়া চলবে।

তবে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত সামরিক অভিযানে লক্ষ্যবস্তু কী হবে এবং ইস্টার্ন কমান্ডের মহড়া থেকে এটি আলাদা হবে কি না, তার বিশদ বিবরণ দেয়নি বেইজিং।

এদিকে বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ পূর্ব তাইওয়ানের কাছে মোতায়েন করেছে আমেরিকা। বহরে আরও রয়েছে মিসাইল ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর