বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাইওয়ানে পেলোসি, আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০৫

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, অন্তত ২০টি যুদ্ধবিমান তাইয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।   

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর ঘিরে টানটান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তার সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে আমেরিকার যুদ্ধবিমানের বহর।

প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেনি চীন। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, অন্তত ২০টি যুদ্ধবিমান তাইয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।

চীনের আপত্তি উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার তাইওয়ান পৌঁছান পেলোসি ও তার সফর সঙ্গীরা। তাদের নিরাপত্তা দিতে জাপানের বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে আসে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর ১৩টি ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন।

স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে তাইপেইয়ে বিমানবন্দরে নামেন পেলোসি। এ সময় পুরো বিমানবন্দরের আলো বন্ধ করে দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দূতকে টর্চের আলোয় স্বাগত জানান তাইওয়ান কর্মকর্তারা।

পেন্টাগন বলছে, সম্ভাব্য চীনা হামলা থেকে হাউস স্পিকারকে রক্ষা করার জন্যই এ পদক্ষেপ।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইয়ং মঙ্গলবারও পেলোসির সফর নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জানিয়েছিলেন, এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চড়া মূল্য দিতে হবে।

১৯৯৭ সালের পর এ প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক তাইওয়ান সফর করছেন। আর এতেই চটেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে তারা। এক ধাপ এগিয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যান কেফেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। পেলোসির তাইওয়ান সফর প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের সেনারা চুপ করে বসে থাকবে না।’

এমন পরিস্থিতিতে পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কূটনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

কেবল আকাশপথ নয়, পেলোসির সফরের আগে তাইওয়ানের জলসীমার কাছে পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্রের চারটি যুদ্ধজাহাজ। যার মধ্যে আছে, বিশ্বের অন্যতম বড় বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান।

সেই সঙ্গে মিসাইলবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্‌স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিও দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান নিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর