বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দিতে চায় ভারত। এই লক্ষ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হতে পারে আগামী বছরের মাঝামাঝি।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এই আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কার্যক্রমের পাশাপাশি নানা বিষয় নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু।
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ২০১৯ সালেরর ১১ ডিসেম্বর সংসদে গৃহীত হয়ে ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও এই আইনের জন্য নিয়ম তৈরি করতে পারেনি। এ্ আইন নাগরিকত্বের মাপকাঠি হিসাবে ধর্মকে ব্যবহার করার জন্য সমালোচিত হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন যার মাধ্যমে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে, আশা করা হচ্ছে কোভিড টিকাদান অভিযান শেষে ২০২৩-এর মাঝামাঝি সময়ে তা কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজ শেষ হলে সিএএ-এর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেবে। বিরোধী দলগুলির তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন প্রয়োগ করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) সঙ্গে বিজেপির চলমান রাজনৈতিক লড়াই নিয়েও অমিত শাহ ও অধিকারীর মধ্যে আলোচনা হয়। অধিকারী জানান, তিনি ১০০ জন টিএমসি নেতার একটি তালিকা অমিত শাহকে দিয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।