যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে গেলে কড়া পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল চীন। সে হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মঙ্গলবার তাইওয়ান যাচ্ছেন পেলোসি।
পূর্ব এশিয়ার স্বশাসিত দ্বীপটির রাজধানী তাইপেতে পেলোসির এ সফর ঘিরে সতর্কতার অংশ হিসেবে সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এরই মধ্যে তাইপের পথে নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরীসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ পূর্ব তাইওয়ানের কাছে মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বহরে আরও রয়েছে মিসাইল ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার।
বর্তমানে রণতরীগুলোর অবস্থান ঠিক কোথায়, তার বিস্তারিত জানাতে চায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে শুরুতে কড়া অবস্থান নিলেও সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি চীনের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, চীনের একাধিক যুদ্ধজাহাজ ও বিমান এরই মধ্যে মিডিয়ান লাইন অতিক্রম করেছে, যা উসকানিমূলক।
মঙ্গলবার সকালে তাইওয়ানের বিমানও মেডিয়ান লাইনের কাছে মোতায়েন করা হয়েছে।
সাধারণত চীন ও স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান কেউই মেডিয়ান লাইন অতিক্রম করে না।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটির কাছাকাছি চীনের সামরিক কার্যকলাপের বিষয়ে অবগত তারা। চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়লে শত্রুর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় যথাযথ বাহিনী পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধ সতর্কতা বাড়িয়েছে।
এদিকে তাইওয়ানের বিপরীতে চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জিয়ামেনে বিশাল সামরিক উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানকার বাসিন্দারা সাঁজোয়া যান চলাচলের ছবি অনলাইনে পোস্ট করছেন। যদিও ছবিগুলোর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।