আল কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে কাবুলে এক ড্রোন হামলায় হত্যা করেছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাওয়াহিরিকে লক্ষ্য করে কাবুলে আমেরিকার চালানো ড্রোন হামলার নিন্দা করেছে তালেবান।
আফগানিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ও তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আমেরিকার এই হামলা ২০২০ সালে দেশটির সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে হওয়া দোহা চুক্তির লঙ্ঘন।
আমেরিকা পাল্টা বলছে, কাবুলে জাওয়াহিরির উপস্থিতি স্পষ্টতই দোহা চুক্তির লঙ্ঘন।
৭১ বছর বয়সী জাওয়াহিরি তার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে কাবুলের প্রাণকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার ওপর ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
আমেরিকার প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৮ মিনিটে ড্রোনের মাধ্যমে দুটি হেলফায়ার মিসাইল ব্যবহার করে জাওয়াহিরির সুনির্দিষ্ট অবস্থানে হামলা চালানো হয়। এই হামলার সময় কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্মী ছিল না।
এই হামলার আগে আমেরিকার পক্ষ থেকে তালেবানকে কোনো সতর্কবার্তা দেয়া হয়নি। হামলায় জাওয়াহিরির পরিবার, মেয়ে ও সন্তানদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি এবং তারা অক্ষত রয়েছেন।
১১ বছর আগে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আমেরিকার নেভি সিলের এক মিশনে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। এরপর আয়মান আল জাওয়াহিরিই সংগঠনটির প্রধান ও আন্তর্জাতিক মুখপাত্র হয়ে উঠেছিলেন।
আয়মান আল জাওয়াহিরি ওসামা বিন লাদেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন।