উগ্রবাদীগোষ্ঠী আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে সুনির্দিষ্টভাবে হত্যার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার প্রতি স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে এ খবর প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে সৌদি রাজতন্ত্র জানিয়েছে, আল-জাওয়াহিরিকে সন্ত্রাসীদের শীর্ষ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ২০০১ সালে তাদের নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে সবচেয়ে ভয়াবহ ও ঘৃণ্য হামলা চালানো হয়েছিল। সেই হামলায় সৌদি নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশ-ধর্ম-বর্ণের কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
এ সময় সন্ত্রাসবাদ উৎখাত ও এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্রদেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব।
রাজধানী রিয়াদ বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর হামলা থেকে নিরাপরাধ মানুষকে রক্ষায় বিশ্বের সব দেশের সরকারকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আফগানিস্তানে আল কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির নিহতের পরপরই এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মিত্রদেশ সৌদি আরব।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক ঘোষণায় জাওয়াহিরির নিহতের ঘটনাটি জানিয়েছেন।
জো বাইডেন ঘোষণায় বলেন, ‘আমি একটি নির্ভূল হামলা অনুমোদন করেছি, যা তাকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে একেবারে এবং আজীবনের জন্য সরিয়ে দিয়েছে।’
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাওয়াহিরি তার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য কাবুলের কেন্দ্রস্থলে এসেছিলেন। সেখানেই তার ওপর ড্রোন হামলা চালানো হয়।
১১ বছর আগে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিলের এক অভিযানে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহতের পর আয়মান আল জাওয়াহিরিই আল কায়েদা প্রধান ও সংগঠনটির আন্তর্জাতিক মুখপাত্র হয়ে উঠেছিলেন। এই আয়মান আল-জাওয়াহিরি ওসামা বিন লাদেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন।