যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তার পূর্ব পরিকল্পিত এশিয়া সফর শুরু করেছেন। শুরুতে সিঙ্গাপুর হয়ে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সফর করবেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পিকারের অফিস থেকে জানানো সফর পরিকল্পনায় ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের উল্লেখ নেই।
যদিও তিনি স্ব-শাসিত দ্বীপটি পরিদর্শন করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাইওয়ান সফর করেননি। গুঞ্জন সত্যি হলে ন্যান্সি পেলোসিই হবেন ১৯৯৭ সালের পর তাইওয়ানে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা।
তবে চীনের পক্ষ থেকে সোমবার আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
তাইওয়ানে পেলোসির সম্ভাব্য সফর শুধু চীনেরই মাথাব্যথার কারণ হয়নি, এটি একই সঙ্গে ভাবিয়েছে বাইডেন প্রশাসনকেও। স্পিকারকে পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে যেতে নিরুৎসাহ করার খবর পাওয়া গেছে।
দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে পেলোসির সফরের সম্ভাবনা নিয়ে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, এটা ভালো পরিকল্পনা নয়।
বাইডেন আরও বলেন, পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রদেশ মনে করে চীন। দেশটির ইচ্ছা তাইওয়ানকে আবার মূল ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করতে চায় বেইজিং।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরের কোনো ঘোষণা দেননি পেলোসি এবং তাইওয়ানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি অপরিবর্তিত রয়েছে।