বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসরায়েলের গ্যাসক্ষেত্রে হামলার হুমকি হিজবুল্লাহর

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২২ ০৯:০৭

সমুদ্রের কারিশ নামের বিতর্কিত অংশে লন্ডনভিত্তিক জ্বালানি প্রতিষ্ঠান এনার্জিনের সঙ্গে ইসরায়েল যে গ্যাস পাম্পের পরিকল্পনা করছে তার বিরোধিতা করছে লেবানন। হিজবুল্লাহ এই ইস্যুতে হুমকি দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ‘সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব ও প্রয়োজনীয়, কিন্তু তা কেবল আলোচনা কূটনীতির মাধ্যমেই করা যেতে পারে।’

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রুশ সেনারা। বিপরীতে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ক্রেমলিনও জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলে বিশ্বে বেড়েছে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম।

রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক এমন পরিস্থিতিতে এবার লেবাননের শিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সাগরে থাকা গ্যাসশিল্পের ওপর হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।

এক ভিডিওবার্তায় রোববার হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েল যদি লেবাননের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের মীমাংসা না করে তবে ইসরায়েলের গ্যাসশিল্প হামলার মুখে পড়বে।

ভিডিওটিতে সমুদ্রের ওপর অবস্থিত গ্যাস উৎপাদন প্ল্যাটফর্ম ও গ্যাস উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ইসরায়েলি জাহাজও দেখানো হয়েছে এবং গ্যাস প্ল্যাটফর্মটি অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ দেখানো হয়েছে।

ভিডিও থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে ড্রোন ফুটেজটি ৯ জুন ধারণ করা হয়েছিল।

প্রেসটিভির নারী সাংবাদিক মারওয়া উসমানও ভিডিওটি টুইট করেছেন।

সমুদ্রের কারিশ নামের যে অংশে লন্ডনভিত্তিক জ্বালানি প্রতিষ্ঠান এনার্জিনের সঙ্গে ইসরায়েল যে গ্যাস পাম্পের পরিকল্পনা করছে, তার বিরোধিতা করছে লেবানন।

ইসরায়েলের ভাসমান গ্যাসক্ষেত্র

ক্ষেত্রটি ইসরায়েলের শহর হাইফা থেকে ৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। ইসরায়েলের বৃহত্তর লেভিয়াথান ও তামার গ্যাস ক্ষেত্রের কাছাকাছিই এর অবস্থান। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ১.৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস থাকতে পারে।

তবে কারিশকে ইসরায়েলের সমুদ্রসীমার অংশ বলে স্বীকার করে না লেবানন। দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন, সমুদ্রসীমা বিরোধের মীমাংসা না করে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানকে উসকানি ও আগ্রাসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হবে।

জুন মাসে এনার্জিনের ভাসমান উৎপাদন, সঞ্চয়স্থান ও অফলোডিংয়ের জাহাজ কারিশে পৌঁছালে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে।

তবে ইসরায়েল জোর দিয়ে বলছে, কারিশ ব্লক পুরোপুরি ইসরায়েলের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত, জাতিসংঘ দ্বারা এটি স্বীকৃত এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে এটি সামদ্রিক বিরোধের বিষয় নয়।

সমুদ্রসীমা নিয়ে এই সংকটে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্ততা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈরুতে লেবাননের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে হুমকি দেয়া এই ভিডিও প্রকাশ করা হলো।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ‘সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব ও প্রয়োজনীয়, কিন্তু তা কেবল আলোচনা কূটনীতির মাধ্যমেই করা যেতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর