পাকিস্তানি রুপির দাম কমছেই। সবশেষ স্থানীয় ব্যাংকে ১ ডলারের বিপরীতে রুপির দর ছিল ২৩৭, যা এক দিন আগেও ১ ডলার ছিল ২৩২.৯৩ রুপি। এক দিনের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ৪.০৭ রুপি।
জিওনিউজের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে রুপি দর হারিয়েছে ৩০ শতাংশ।
ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দরপতন দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি করছে। এমনিতেও আমদানির বিপরীতে রপ্তানি অনেক কম হওয়ায় ডলারের রিজার্ভ কমছে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। সংকটের কারণে বাজারে ডলার ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। ফলে রুপির দরপতন চলছেই।
পাকিস্তান তার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের চেয়ে দ্রুতগতিতে ব্যবহার করছে। এর কারণ করোনাভাইরাস মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বৈদেশিক পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে দেশটি দেউলিয়া হয়ে যাবে।
এপ্রিলেও দেশটিতে যেখানে ১ লিটার পেট্রলের দাম ছিল ১৫০ রুপি, সেখানে জুলাইয়ে পেট্রলের দাম হয়েছে ২৫০ রুপি।
রান্নার জন্য ব্যবহৃত তেল মে থেকে জুনের মধ্যেই দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ।
যতদিন যাচ্ছে, দেশটিতে বাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল দেউলিয়া হওয়া থেকে দেশকে বাঁচাতে জনগণকে চা পান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার ইমরান খানের সময় জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতে যেই ভর্তুকি দেয়া হচ্ছিল তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে দেশটিতে জ্বালানির দাম আরও ৭০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।