বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোতাবায়া শ্রীলঙ্কায় ‘ফিরছেন শিগগিরই’

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২২ ১১:৫৮

নানা সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক মাস ধরে চলছে টানা বিক্ষোভ। এমন প্রেক্ষাপটে ১৩ জুলাই শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপ যান ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া। পরদিন সিঙ্গাপুরে পৌঁছে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।

তীব্র বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশে ফিরতে পারেন শিগগিরই।

শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র বান্দুলা গুনাবর্ধনা মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বান্দুলা বলেন, 'গোতাবায়া পালিয়ে নেই। তবে কবে তিনি দেশে ফিরবেন সে তারিখ এখনও নিশ্চিত না। আমার জানা মতে তিনি দেশে ফেরার আশা করছেন।'

নানা সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক মাস ধরে চলছে টানা বিক্ষোভ। এমন প্রেক্ষাপটে ১৩ জুলাই শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপ যান ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া। পরদিন সিঙ্গপুরে পৌঁছে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।

রাজাপাকসে, তার স্ত্রী, নিরাপত্তারক্ষীসহ চারজন একটি সামরিক উড়োজাহাজে কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে মালদ্বীপ যান। বিমানবন্দরে অবতরণের পর কড়া পুলিশি পাহারায় তাদের নেয়া হয় গোপন স্থানে।

মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রার আগের দিনও গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। কিন্তু দেশটির ইমিগ্রেশন অফিসারদের বাধায় তিনি যেতে পারেননি। আকাশপথে ব্যর্থ হয়ে তিনি নৌবাহিনীর জাহাজে শ্রীলঙ্কা ছাড়ার চেষ্টাও করেন।

সিঙ্গাপুরেও যে গোতাবায়া সুবিধাজনক স্থানে রয়েছেন তা নয়। শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে ভূমিকার জন্য সে দেশে তার গ্রেপ্তার চেয়ে সিঙ্গাপুরের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (আইটিজেপি) নামের একটি সংস্থা।

শ্রীলঙ্কা এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল গোতাবায়ার। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে একটি আইন মেনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন। ওই আইনে বিদেশি নাগরিকদের নির্বাচনে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ ছিল।

গোতাবায়ার সর্বশেষ অবস্থান জানিয়ে শ্রীলঙ্কার এক সরকারি কর্মকর্তা ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, গোতাবায়া কলম্বোয় ফেরার অপেক্ষায় আছেন।

কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মানুষ।

এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। একপর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।

বিক্ষোভ দমাতে এপ্রিলের শুরুতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়। উল্টো মাত্রা আরও তীব্র হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় মে মাসে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও গোতাবায়ার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে। গত ১২ মে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

এই পর্যায়ে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নিহত হন এক এমপি। অনেক সাবেক মন্ত্রী-এমপির বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের পৈতৃক বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয়। চলতে থাকে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২১ জুলাই শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

এ বিভাগের আরো খবর