বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য দুই ব্যক্তির বন্ধুত্বের সম্পর্ককে তালগোল পাকিয়ে ফেলা নারী নিকোল শানাহানকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
শানাহান গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনের স্ত্রী, যদিও এখন আলাদা থাকছেন দুজন। আর এই আলাদা থাকার পেছনে সের্গেই ব্রিনের দীর্ঘদিনের বন্ধু টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের প্রেমকে দায়ী করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। মাস্ক অবশ্য অস্বীকার করছেন এই অভিযোগ।
নিকোল শানাহান ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক অ্যাটর্নি এবং সিলিকন ভ্যালির একজন উদ্যোক্তা। ক্লেয়ারঅ্যাক্সেসআইপি নামে একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান চালুর জন্য তিনি পরিচিত পেয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি পেটেন্ট পরিচালনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে থাকে। ২০২০ সালে এটি বিক্রি করে দেন শানাহান।
বিয়া-ইকো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিও শানাহান। এটি একটি জনহিতকর ফাউন্ডেশন, যা ফৌজদারি আইনের সংস্কারের প্রচার করে থাকে। একটি টেকসই ভবিষ্যতের লড়াইয়ের পাশাপাশি ত্রিশ দশকের মাঝামাঝিতে নারীর যৌন স্বাস্থ্য নিয়েও কাজ করে বিয়া-ইকো।
বাক ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ অন এজিং-এর সেন্টার ফর ফিমেল রিপ্রোডাক্টিভ লংএভিটি অ্যান্ড ইকুয়ালিটি চালুর সময় গর্ভবতী হওয়ার অসুবিধা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছিলেন শানাহান।
কেন্দ্রটি চালু করতে শানাহানের ফাউন্ডেশন প্রাথমিক তহবিল সরবরাহ করেছিল বলে খবর ছাপে পেজ সিক্স।
এ প্রসঙ্গে শানাহান বলেছিলেন, ‘নিজের সঙ্গে অঙ্গীকার করেছিলাম যে নারীর ব্যক্তিগত পছন্দ আছে, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সাহায্য করব।’
শানাহান শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের শেষ দিকে ব্রিনের কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। দুই বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ওই বছর গাঁটছড়া বাঁধেন ব্রিন-শানাহান। ব্রিনেকে বিয়ের আগে শানাহান একজন ফাইন্যান্স এক্সিকিউটিভের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন।
গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনের সঙ্গে নিকোল শানাহান। ছবি: সংগৃহীত
শানাহান ওকল্যান্ডে বেড়ে ওঠেন। মা চীনা অভিবাসী; বাবা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২১ সালের জুনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘শৈশবের বেশির ভাগ সময় আমার দুজন বেকার বাবা-মা ছিল। বাবা-মায়ের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনাও ছিল না। সেখানে কেবল বিশৃঙ্খলা এবং ভয় ছিল।’
পুগেট সাউন্ড ইউনিভার্সিটি এবং সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটির আইন স্কুলে পড়াশোনা করেন শানাহান। নিজের প্রতিষ্ঠান শুরুর আগে, কাজ করেছেন পেটেন্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবেও। ছিলেন স্ট্যানফোর্ড ল স্কুলে কোডএক্স ফেলো।