ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৯৬ সদস্যের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে রাশিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার ব্যাস্ট্রিকিন দেশটির সরকারি সাইট রসিসকায়া গাজেটাকে জানিয়েছেন, ১ হাজার ৩০০টিরও বেশি অপরাধের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে মস্কো।
যেখানে আসামি করা হয়েছে ৫১ জন ইউক্রেনীয় সামরিক কমান্ডারসহ মোট ৯৬ জনকে।
তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আলেকজান্ডার ব্যাস্ট্রিকিন বলিভিয়া, ইরান ও সিরিয়াকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
তবে বিবিসির পক্ষ থেকে ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে আনিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কিয়েভের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার ব্যাস্ট্রিকিন
তবে ইউক্রেনও তাদের নিজস্ব তদন্ত পরিচালনা করছে। কিয়েভের দাবি, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে ২১ হাজারেরও বেশি যুদ্ধাপরাধ করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইউক্রেনকে অপরাধের ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করে সেখানে তদন্তকারী ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল পাঠিয়েছে।
তবে ক্রেমলিন বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে, বরঞ্চ ইউক্রেনই তাদের নিজেদের অবকাঠামোতে গোলাবর্ষণ করেছে, নিজেদের নাগরিকদের হত্যা করেছে।
ব্যাস্ট্রিকিনের মতে, পশ্চিমারা ইউক্রেনীয় জাতীয়বাদকে উসকে দিচ্ছে। ফলে জাতিসংঘের কাছে ইউক্রেনের যুদ্ধাপরাধের সুরাহা হবে বলে তার মনে হয় না।
এর আগে গত মে মাসে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দুই রুশ সেনাকে সাজা দিয়েছিল ইউক্রেনের আদালত।
দুজনকে সাড়ে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন কোটেলেভস্কা জেলা আদালতের বিচারক।
দণ্ড পাওয়া রুশ সেনারা ছিলেন আলেকজান্ডার ববিকিন ও আলেকজান্ডার ইভানভ। তাদের বিরুদ্ধে পূর্ব ইউক্রেনের একটি শহরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গোলা নিক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়।
বেলগোরোড অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলে হামলা চালানো আর্টিলারি ইউনিটের সদস্য ছিলেন তারা।