মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাপ্রবাহে ইরানের মিত্র হিসেবে রাশিয়ার ভূমিকা দেখা গেলেও ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের দলে যোগ দেয়নি সৌদি আরব।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না সৌদি আরবের। তবে সম্প্রতি জো বাইডেনের সৌদি আরব সফরে সম্পর্কের শীতল বরফ গলতে শুরু করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে রিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে ক্রেমলিনও।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।
বৈশ্বিক জ্বালানি তেল সরবরাহ ইস্যুতে এবং ওপেক প্লাসে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন।
দুই নেতাই ফোনালাপে রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যে বন্ধুত্ব যে স্তরে রয়েছে তার প্রশংসা করেছেন এবং পারস্পরিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
গত ১৯ জুলাই তেহরানে হয়ে যাওয়া তুর্কিয়ে, ইরান ও রাশিয়ার সিরিয়ার শান্তি আলোচনার বিষয়েও সালমানকে অবহিত করেছেন পুতিন। উভয় নেতাই বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করতে সম্মত হয়েছেন।
উল্লেখ্য সৌদি আরব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও সৌদি আরব দেশটি থেকে তেল আমদানি বজায় রাখে।
যদিও সিরিয়া ও ইরান ইস্যুতে এই দুই দেশের অবস্থান পুরোই বিপরীত।