মানুষের তত্ত্বাবধানে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ পান্ডা মারা গেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান অ্যান নামের পান্ডাটি বৃহস্পতিবার ৩৫ বছর বয়সে মারা যায়।
হংকং ওশান থিম পার্ক, যেখানে অ্যান অ্যান থাকত, সেই থিম পার্কের কর্তৃপক্ষ বলছে, পান্ডার জীবনের ৩৫ বছর মানুষের সঙ্গে তুলনা করলে ১০৫ বছরের সমান।
কয়েক সপ্তাহ ধরে অ্যানের স্বাস্থ্যের অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছিল। তার খাওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শেষ সময়ে সে খাদ্যগ্রহণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।
এর আগে ২০১৬ সালে জিয়া জিয়া নামের বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্ত্রী পান্ডা ৩৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছিল।
ওশান পার্কের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে অ্যানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
পার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জিয়া জিয়া এবং অ্যান অ্যানের যত্ন নেয়ার সুযোগ পাওয়ায় তারা কৃতজ্ঞ। কারণ এটি ওশান পার্ককে পান্ডা সংরক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘অ্যান আমাদের পরিবারের একজন অপরিহার্য সদস্য এবং এই পার্কের সঙ্গেই সে বেড়ে উঠেছে। সে পর্যটকদের সঙ্গে একইভাবে বন্ধুত্বের একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করেছে।’
চীন থেকে ২০০৭ সালে উপহার পাওয়া ইং ইং ও লে লে নামের আরও দুটি পান্ডা রয়েছে ওশান পার্কে। যদিও পার্কটি পেঙ্গুইন ও ডলফিনের মতো প্রাণীই প্রদর্শন করে।
পার্ক কর্তৃপক্ষ আশা করেছিল, ইং ইং ও লে লে পান্ডা দম্পতির হয়তো বাচ্চা হবে, তবে এখন পর্যন্ত তাদের ঘর আলোকিত করে কোনো পান্ডার জন্ম হয়নি।