কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন ভারতভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট অল্ট নিউজের সহপ্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়ের।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাত ৯টার দিকে দিল্লির তিহার কারাগার থেকে তিনি বের হন।
দেশটির আদালত সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেয়। তবে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে রাত ৯টা বেজে যায়।
সেখানে আগে থেকেই গাড়ি জুবায়েরের জন্য অপেক্ষা করছিল। কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি গাড়িতে ওঠেন। এসময় বিজয়সূচক চিহ্ন দেখান তিনি।
এর আগে সাত মামলা থেকে তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, সূর্যকান্ত এবং এএস বোপান্নার বেঞ্চ।
জামিন আবেদনের শুনানিতে আদালতের বিচারক বলেন, ‘আমরা মনে করি, সব মামলায় তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি দেয়া উচিত। এটি আইনের একটি নির্দিষ্ট নীতি যে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা অবশ্যই সংক্ষিপ্তভাবে অনুসরণ করা উচিত। বর্তমান ক্ষেত্রে তাকে অন্তহীন অবস্থায় আটকে রাখার কোনো যুক্তি নেই।’
উত্তরপ্রদেশ সরকার আদালতকে টুইট করা থেকে তাকে থামাতে অনুরোধ করেছিল। সেই অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করে আদালত।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘এটা একজন আইনজীবীকে আর কোনো তর্ক না করার জন্য বলার মতো অনুরোধ। একজন সাংবাদিককে আপনি কীভাবে বলতে পারেন যে তিনি লিখতে পারবেন না? তিনি যদি এমন কিছু করেন যা আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে তিনি আইনের কাছে জবাবদিহি করতে পারেন।’
তিনি বলেন,‘ কিন্তু আমরা কীভাবে একজন নাগরিকের বিরুদ্ধে আগাম ব্যবস্থা নিতে পারি যখন তিনি তার আওয়াজ তুলছেন? প্রত্যেক নাগরিক সরকারি বা ব্যক্তিগতভাবে যা করেন তার জন্য জবাবদিহি করতে পারেন। সুতরাং আমরা এমন কোনো আদেশ দেব না।’
জুবায়েরের সাইট অল্ট নিউজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনার জন্য বেশ পরিচিত।
২০১৮ সালে জুবায়ের টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবির সঙ্গে করা মন্তব্যে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের দেবতাকে অপমান করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় গত মাসে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৭ জুন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর দুই দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জুবায়েরকে।