স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ থেকে অতি মূল্যবান ওয়াইনের বোতল চুরি করার ৯ মাস পর ধরা পড়ল ইউরোপের এক যুগল।
কয়েকটি দেশের পুলিশের সমন্বিত অভিযানে ক্রোয়েশিয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। স্পেন পুলিশের এক টুইটে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ-পশ্চিম স্পেনের ক্যাসেরেস শহরের অ্যাট্রিও হোটেল অ্যান্ড রেস্টেুরেন্টে ওঠেন এক পুরুষ ও এক নারী। তারা হোটেলে এক রাত কাটানোর পাশাপাশি রেস্তোরাঁ থেকে ৪৫ বোতল দামি ফ্রেঞ্চ ওয়াইনের বোতল চুরি করেন। ১৮০৬ সালে তৈরি এই ওয়াইনের সব মিলিয়ে দাম ১৬ লাখ ইউরোর বেশি। চুরির ঘটনাটি সে সময় শিরোনাম হয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
একটি বিবৃতিতে স্পেনের পুলিশ বলেছে, চুরিটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনার ছিল। সেই নারী হোটেল বুক করার জন্য একটি জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করেন। তারা স্পেনের হোটেলটির বিখ্যাত ওয়াইন সেলারে ঢোকার আগে রেস্তোরাঁয় খাবার খান।
পুলিশ বলেছে, নারীর সঙ্গীটি সেলারে ঢুকতে পুরোনো একটি মাস্টার কি ব্যবহার করেন। তার কাছে তিনটি ঝোলানো ব্যাগ ছিল। একটি তার পিঠে এবং দুটি হাতে। যার মধ্যে তিনি বোতলগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন। বোতলগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে হোটেলের তোয়ালে দিয়ে প্যাঁচানো হয়।
লোকটি সেলারে ঢুকে চুরির সময় তার সঙ্গিনী রান্নাঘরের কর্মীদের একজনকে খাবার তৈরি করতে বলেন। এতে সেই কর্মী অনেকটা বিভ্রান্ত হন। তার উদ্দেশ্য ছিল কর্মীকে অন্য দিকে ব্যস্ত রাখা।
চুরির পর তারা দ্রুত খাবার শেষ করে হোটেল রুমে চলে যান। পরের দিন ভোর সাড়ে ৫টায় সেই যুগল হোটেল ছেড়ে যান।
স্পেন এবং অন্যান্য দেশের পুলিশ ঘটনাটির অনুসন্ধান করে দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি পেশাদার এবং নিখুঁত পরিকল্পনা করা হয়েছিল। চুরির আগে ওই যুগল তিনবার রেস্তোরাঁটি পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন।
চুরির কয়েক দিন পর এই যুগল স্পেন ছেড়ে ইউরোপের কয়েকটি দেশ ঘুরেছেন। শেষ পর্যন্ত মন্টিনিগ্রো-ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত এলাকায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করেন তদন্তকারীরা। পরে ইন্টারপোল ও ইউরোপোলের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।