দক্ষিণ আমেরিকা ভিত্তিক একটি বেনামি প্রতিষ্ঠান ইলন মাস্কের একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে চায়, এমনটাই দাবি করেছেন ইলন মাস্কের বাবা ইরোল মাস্ক।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৬ বছর বয়সী ইরোল মাস্ক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানকে বলেছেন, দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিষ্ঠানটি তার শুক্রাণু একজন উচ্চশ্রেনীর কলম্বিয় নারীর গর্ভে স্থাপণ করতে চায়।
দ্য সানকে ইরল বলেন, কোম্পানির পক্ষ থেকে তাকে বলা হয়েছিল, তারা ইলনের কাছে কেনই বা যাবেন(শুক্রাণুর জন্য) , যেখানে ইলনকে যিনি তৈরি করেছেন, তার কাছেই যেতে পারেন।
তবে এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ইরোলকে কোনো অর্থের প্রস্তাব দেয়নি। শুক্রাণু দাতা হিসেবে তিনি কেবল বিশেষ কিছু সুবিধা পেতে পারেন, যেমন প্রথম শ্রেনীর ভ্রমণ, পাঁচতারকা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুবিধা।
দ্য সানের পক্ষ থেকে ইরোল মাস্ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোনো মূল্য ছাড়াই আপনি শুক্রাণু দিতে রাজি হলেন।
জবাবে ইরোল বলেন, ‘আচ্ছা, কেনো নয়?’
সানকে দেয়া এর আগের সাক্ষাৎকারে ইরোল জানিয়েছিলেন ইলন মাস্কেরই গোপন ২ ভাই-বোনের কথা।
আর ইলন মাস্কের এই ২ বোনের মা আর কেউ নন, ইরোলেরই সৎমেয়ে জনা বেজুইডেনহাউট।
ইরোল ও তার সৎমেয়ে জনা ৩ বছর আগে সর্বশেষ তাদের কন্যাসন্তানকে স্বাগত জানান। এরই মধ্যে তাদের দুজনের একটি ছেলেও রয়েছে।
সৎমেয়ের সঙ্গে সন্তান জন্মদানকে ইরোল মাস্ক অনৈতিকভাবে দেখেন না। তিনি বলেন, পৃথিবীতে আমরা একমাত্র যেই জিনিসটির জন্য রয়েছি, তা হলো পুনরুৎপাদন করা। যদি আমার আরেকটি সন্তান হতে পারে। তবে আমি তাই করব। আমি না করার কোনো কারণ দেখছি না।
তবে তিনি জানিয়েছেন, এখন আর সৎমেয়ে জনার সঙ্গে থাকছেন না তিনি। ৪১ বছরের ছোট জনাকে ৪ বছর বয়স থেকে নিজের মেয়ের মতোই বড় করেছেন ইরোল মাস্ক। জনার মা হেইডের সঙ্গেও ইরোল ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন এবং হেইডের ঘরেও তার ২ সন্তান রয়েছে। জনাকেও তিনি বড় করেছেন নিজের মেয়ের মতো করেই।
জনার ঘরের এই দুই সন্তান ও ইলন মাস্কসহ ইরোল এখন ৭ সন্তানের জনক।
যদিও তার আরও বংশধর থাকতে পারে। আরও ৬ জন নারী দাবি করেন যে তারা ইরোল মাস্কের সন্তানের মা।
তবে ইরোল বলছেন, তারা আসলে সুযোগ সন্ধানী।