বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিক্ষুব্ধ কিউবায় নজরদারি এড়াতে ভিপিএন ডাউনলোডের হিড়িক

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২২ ১৮:১০

আগের দুই সপ্তাহের তুলনায় ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে ফ্রি ভিপিএন অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি। স্বাধীন মিডিয়া সংস্থা ইনভেনটারিও এ তথ্য জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় ৮৯ হাজার কিউবান তাদের ডিভাইসে ভিপিএন অ্যাপ ইনস্টল করেছেন।

মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যায় নাকাল উত্তর আমেরিকার দেশ কিউবা। লাগামবিহীন জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করায় ফুঁসে উঠেছে দেশটির জনগণ। কয়েকদিন ধরে কিউবার কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমন করতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই দেশটির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভিপিএনের দিকে ঝুঁকেছেন।

ইন্টারনেটের উপরে দেশটির সরকারের যে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তা বাইপাস করতেই মূলত এই ভিপিএন ব্যবহার করছেন তারা।

ভিপিএন অর্থ হচ্ছে ‘ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক’, যা মূলত ব্যবহারকারীর পরিচয় ও অবস্থান গোপন রাখে।

কয়েক বছর ধরে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে ক্যারিবিয় দ্বীপ রাষ্ট্রটি। এর মধ্যে নতুন করে সংকট তৈরি করেছে করোনা মহামারি। এর জেরে অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য খাতে তৈরি হয়েছে সংকট। এ সময়ে দেশটির পর্যটনও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এর বিরাট প্রভাব পড়েছে কিউবার অর্থনৈতিক।

দেশটিতে মূল্যস্ফীতি, বিদ্যুৎ ঘাটতির সঙ্গে খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট তৈরি হয়েছে। লাগামবিহীন জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করে। এরপরই ফুঁসে ওঠে দেশটির জনগণ।

রাজধানী হাভানা থেকে শুরু করে দেশটির বড় শহরগুলোতে রাস্তায় লাখ লাখ মানুষ নামে।

অনেকে বলছেন, এরকম বিক্ষোভ সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেট থাকার ফলেই। কারণ ফেসবুক লাইভে এসে বিক্ষোভকারীরা ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই তা শেয়ার করে দিচ্ছেন।

বিক্ষোভ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য দেশটির সরকার গত ১৫ জুলাই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে ভিপিএনের ব্যবহার।

আগের দুই সপ্তাহের তুলনায় ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে ফ্রি ভিপিএন অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি। স্বাধীন মিডিয়া সংস্থা ইনভেনটারিও এ তথ্য জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় ৮৯ হাজার কিউবান তাদের ডিভাইসে ভিপিএন অ্যাপ ইনস্টল করেছেন।

চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে গত বছর কয়েক দশকের মধ্যে সর্ববৃহৎ বিক্ষোভে নামেন কিউবার নাগরিকরা। সেসময় দ্বীপরাষ্ট্রটির হাজার হাজার মানুষের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ‘স্বাধীনতার’ স্লোগানও দেয়া হয়। এ জন্য এক হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। নানা মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয়েছে কয়েকশ জনকে।

ওই বিক্ষোভের বছরপূর্তিতে ফের রাস্তায় নামেন হাজার হাজার মানুষ।

ফিদেল কাস্ত্রোর হাত ধরে ১৯৫৯ সালে কিউবায় কমিউনিস্ট সরকার তৈরি হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কমিউনিস্টরাই শাসন করছে কিউবা। এর আগে কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ সংগঠিত হলেও কাস্ত্রোদের সরানো যায়নি। তবে এবারের বিক্ষোভ অন্য মাত্রা পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিভাগের আরো খবর